ডোপ টেস্ট নিয়ে ভোগান্তি সীমিত পরীক্ষা ঢাকায়

দেশজুড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও সরকারি চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট করাতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শত শত মানুষ। রাজধানীসহ দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্ট আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনে ভোর থেকে মানুষ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও, অনেকেই পরীক্ষার সুযোগ পান না। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪-৫শ’ জনের পরীক্ষা হতো, এখন সীমাবদ্ধ করা হয়েছে মাত্র ১০০ জনে — তাও শুধু ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য। ফলে ঢাকায় থাকা অন্যান্য জেলার মানুষরাও এই সেবা পাচ্ছেন না।
বিআরটিএ নির্ধারিত তালিকায় ঢাকার ৮টি হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে কিছু সরকারি হাসপাতালের নাম থাকলেও অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয় না বা খরচ বেশি। ফলে ডোপ টেস্টের জন্য সেবাপ্রত্যাশীরা পড়ছেন চরম হয়রানিতে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের পরিচালক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, “ডোপ টেস্ট আমাদের মূল দায়িত্ব নয়, জনবল সংকটের কারণে স্বাভাবিক সেবাই দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানিয়েছেন, হাসপাতালের মূল দায়িত্ব রোগীদের সেবা। চালকদের ডোপ টেস্ট অন্য কোনোভাবে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে বিআরটিএ-কে চিঠি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শরীরে মাদক আছে কি না, তা যাচাইয়ে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। তবে সরকারি হাসপাতাল ছাড়া এই টেস্টের রিপোর্ট গ্রহণ করে না কর্তৃপক্ষ।