| ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

অ্যান্টার্কটিকার গভীর বরফস্তর থেকে ১৫ লাখ বছরেরও বেশি পুরনো বরফ সংগ্রহ করে নতুন ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। এই বরফ গলিয়ে পৃথিবীর অতীত জলবায়ুর অজানা তথ্য জানার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, কাচের মতো দেখতে এই প্রাচীন বরফ অ্যান্টার্কটিকার কনকর্ডিয়া ঘাঁটির কাছে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার গভীর থেকে বিশেষ ড্রিলের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। এই বরফের ধূলিকণা ও রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন, কিভাবে প্রাচীনকালে বরফ গলতে শুরু করেছিল এবং তা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় কী প্রভাব ফেলেছিল— যা আজকের জলবায়ু সংকটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (BAS) গবেষক ড. লিজ থমাস জানান, “এই বরফ আমাদের পৃথিবীর ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়ের দরজা খুলে দেবে। সবচেয়ে পুরনো অংশগুলোর বয়স হতে পারে ১৫ লাখ বছর।”

এই বরফ বিশেষ হিমঘরে মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। গবেষকেরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য সেখানে কাজ করতে পারেন।

আগামী সাত সপ্তাহ ধরে বরফ ধীরে ধীরে গলিয়ে ধূলিকণা, আগ্নেয়গিরির ছাই ও সামুদ্রিক শৈবাল (ডায়াটম) আলাদা করা হবে। এরপর সেগুলো ইন্ডাক্টিভলি কাপলড প্লাজমা মাস স্পেকট্রোমিটার (ICP-MS) দিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে। এতে ২০টিরও বেশি মৌলিক উপাদান, বিরল ধাতু ও সামুদ্রিক লবণের উপস্থিতি শনাক্ত হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণা ৮ থেকে ১২ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বরফযুগের চক্রে ঘটে যাওয়া ‘মাইল্ড-প্লাইস্টোসিন ট্রানজিশন’ রহস্য উন্মোচন করতে সহায়তা করবে। আগে পৃথিবীর বরফযুগের চক্র ছিল ৪১ হাজার বছর পরপর, যা তখন বদলে ১ লাখ বছর পরপর হতে শুরু করে। কেন এই পরিবর্তন ঘটেছিল, সেটি এখনও জলবায়ুবিজ্ঞানের এক বড় প্রশ্ন।

যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, ৮ লাখ বছরের বেশি আগে প্রকৃতিতেই কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব আজকের মতোই বেশি ছিল, তবে বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের প্রভাব নিয়ে ধারণা নতুনভাবে সাজাতে হবে। পার্থক্য শুধু একটাই—তখন প্রকৃতি নিজেই এই পরিবর্তন ঘটিয়েছিল, আর আজকের পরিবর্তন মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে দ্রুত গতিতে ঘটছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বরফ গবেষণা আমাদের ভবিষ্যৎ জলবায়ু নীতি ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

“জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি”

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে দলটির মিডিয়া সেল।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বিএন‌পির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকা হয়নি।

তবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জাতীয় সমাবেশে কেবলমাত্র সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের একজন নেতা জানান, তাদের দল সমাবেশে অংশ নিচ্ছে না। তবে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি সমাবেশে যাচ্ছি। আমাদের দলের তিনজন প্রতিনিধি জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবেন।”

সমাবেশের মূল পর্ব শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সাংস্কৃতিক শাখা বিশেষ প্রচারণামূলক গান তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেন ও বাস ভাড়া করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসছেন বলে জানা গেছে।

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মেয়ে মিনা পাল, যিনি সবার কাছে বাংলা সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ সারাহ বেগম কবরী নামে পরিচিত। নাচের প্রতি অদম্য ভালোবাসা থেকেই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মঞ্চে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিষেক। এক বছর পর, মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হয়ে প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

প্রথম ছবিতেই দর্শক হৃদয় জয় করে নেন কবরী। এরপর শুরু হয় সোনালি অধ্যায়। মিনা পাল থেকে হয়ে যান সারাহ বেগম কবরী— বাংলা চলচ্চিত্রে এক অনন্য নাম। আজ কিংবদন্তি এই নায়িকার ৭৫তম জন্মদিন।

১৯৭৫ সালে ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার চিরসবুজ ‘মিষ্টি মেয়ে’। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কবরী। বাংলা চলচ্চিত্রে একমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে পাঁচজন শীর্ষ নায়কের বিপরীতে অভিষেক ঘটেছে তাঁর— ফারুক, জাফর ইকবাল, আলমগীর, উজ্জ্বল ও সোহেল রানা।

কবরীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো: ‘সুতরাং’, ‘হীরামন’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সারেং বউ’, ‘দেবদাস’, ‘সুজন সখী’, ‘পারুলের সংসার’, ‘রংবাজ’, ‘বধূ বিদায়’, ‘আগন্তুক’, ‘বাহানা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।

অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী অধিকারকর্মী ও সমাজসেবী। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশে-বিদেশের নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননাও।

২০০৬ সালে ‘আয়না’ সিনেমা পরিচালনা করে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। তাঁর আত্মজীবনী ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়, আর একই নামে সিনেমাও নির্মাণ করেছিলেন তিনি। তবে শেষ জীবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

কবরী নেই, তবুও তাঁর শত সিনেমা, লেখা আর অমর স্মৃতি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। মিষ্টি মেয়ে নেই, তবে ‘স্মৃতিটুকু’ রয়ে গেছে— প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

“বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্য মানা হবে না: সোহরাওয়ার্দীতে জাগপার রাশেদ প্রধানের হুঁশিয়ারি”

অ্যান্টার্কটিকার ১৫ লাখ বছরের পুরনো বরফে মিলবে অতীত জলবায়ুর অজানা রহস্য

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, “গত বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ‘রাজাকার’ শব্দটি আবারও রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ইতিহাসের শিক্ষা মনে রাখুন— একবার এই রাজাকার তত্ত্ব দিয়ে দিল্লির তিলক মালি মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলা ছেড়ে দিল্লি পালাতে হয়েছিল। সেই একই ভুল আবারও করলে ইতিহাস কাউকে ছাড়বে না।”

জামায়াতের আয়োজিত এই জাতীয় সমাবেশে সকাল থেকে সারা দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হন। প্রথম পর্বে ইসলামী সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর দুপুর ২টায় মূল সমাবেশ শুরু হয়। এতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের মূল দাবি ছিল সাত দফা— এর মধ্যে রয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার এবং প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

×