| ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

‘চাঁদাবাজদের কাছে আর বর্গা নয় নারায়ণগঞ্জে নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি

‘চাঁদাবাজদের কাছে আর বর্গা নয় নারায়ণগঞ্জে নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

দেশে নতুন করে আর কোনও চাঁদাবাজদের কাছে বর্গা (শাসনাধিকার) দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে এনসিপির জুলাই মাসের পদযাত্রায় তিনি এই ঘোষণা দেন। পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তনের যে কথা বলেছিলাম, সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি।’

এর আগে মুন্সীগঞ্জে এক পথসভায় হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, হামলা চালিয়ে এনসিপিকে দমন করা যাবে না। মুজিববাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের একই পদযাত্রায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর দলটিকে আর ক্ষমা করার সুযোগ নেই।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার কক্সবাজার ও বান্দরবানে আরও দুটি পথসভা করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

“জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি”

‘চাঁদাবাজদের কাছে আর বর্গা নয় নারায়ণগঞ্জে নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে দলটির মিডিয়া সেল।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বিএন‌পির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকা হয়নি।

তবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জাতীয় সমাবেশে কেবলমাত্র সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের একজন নেতা জানান, তাদের দল সমাবেশে অংশ নিচ্ছে না। তবে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি সমাবেশে যাচ্ছি। আমাদের দলের তিনজন প্রতিনিধি জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবেন।”

সমাবেশের মূল পর্ব শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সাংস্কৃতিক শাখা বিশেষ প্রচারণামূলক গান তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেন ও বাস ভাড়া করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসছেন বলে জানা গেছে।

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

‘চাঁদাবাজদের কাছে আর বর্গা নয় নারায়ণগঞ্জে নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি

মিষ্টি মেয়ে কবরীর ৭৫তম জন্মদিন: কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতির ঝরাপাতা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মেয়ে মিনা পাল, যিনি সবার কাছে বাংলা সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ সারাহ বেগম কবরী নামে পরিচিত। নাচের প্রতি অদম্য ভালোবাসা থেকেই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মঞ্চে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিষেক। এক বছর পর, মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হয়ে প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

প্রথম ছবিতেই দর্শক হৃদয় জয় করে নেন কবরী। এরপর শুরু হয় সোনালি অধ্যায়। মিনা পাল থেকে হয়ে যান সারাহ বেগম কবরী— বাংলা চলচ্চিত্রে এক অনন্য নাম। আজ কিংবদন্তি এই নায়িকার ৭৫তম জন্মদিন।

১৯৭৫ সালে ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার চিরসবুজ ‘মিষ্টি মেয়ে’। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কবরী। বাংলা চলচ্চিত্রে একমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে পাঁচজন শীর্ষ নায়কের বিপরীতে অভিষেক ঘটেছে তাঁর— ফারুক, জাফর ইকবাল, আলমগীর, উজ্জ্বল ও সোহেল রানা।

কবরীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো: ‘সুতরাং’, ‘হীরামন’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সারেং বউ’, ‘দেবদাস’, ‘সুজন সখী’, ‘পারুলের সংসার’, ‘রংবাজ’, ‘বধূ বিদায়’, ‘আগন্তুক’, ‘বাহানা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।

অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী অধিকারকর্মী ও সমাজসেবী। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশে-বিদেশের নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননাও।

২০০৬ সালে ‘আয়না’ সিনেমা পরিচালনা করে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। তাঁর আত্মজীবনী ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়, আর একই নামে সিনেমাও নির্মাণ করেছিলেন তিনি। তবে শেষ জীবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

কবরী নেই, তবুও তাঁর শত সিনেমা, লেখা আর অমর স্মৃতি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। মিষ্টি মেয়ে নেই, তবে ‘স্মৃতিটুকু’ রয়ে গেছে— প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

“বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্য মানা হবে না: সোহরাওয়ার্দীতে জাগপার রাশেদ প্রধানের হুঁশিয়ারি”

‘চাঁদাবাজদের কাছে আর বর্গা নয় নারায়ণগঞ্জে নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, “গত বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ‘রাজাকার’ শব্দটি আবারও রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ইতিহাসের শিক্ষা মনে রাখুন— একবার এই রাজাকার তত্ত্ব দিয়ে দিল্লির তিলক মালি মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলা ছেড়ে দিল্লি পালাতে হয়েছিল। সেই একই ভুল আবারও করলে ইতিহাস কাউকে ছাড়বে না।”

জামায়াতের আয়োজিত এই জাতীয় সমাবেশে সকাল থেকে সারা দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হন। প্রথম পর্বে ইসলামী সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর দুপুর ২টায় মূল সমাবেশ শুরু হয়। এতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের মূল দাবি ছিল সাত দফা— এর মধ্যে রয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার এবং প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

×