| ১৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, ছাত্রলীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, ছাত্রলীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।

ওসি জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই মাসজুড়ে এই পদযাত্রা কর্মসূচি চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আজ শহরের পৌর পার্কে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে পদযাত্রার আয়োজন ছিল। সেই পদযাত্রা বানচালের জন্য ছাত্রলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের শুরু থেকে এনসিপি দেশের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গোপালগঞ্জের কর্মসূচির কথা জানান। তিনি লিখেছেন, “বিপ্লবের সহযোদ্ধারা ধুমকেতুর মতো ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে, বৈষম্যের অবসান হবে। গোপালগঞ্জ কারো সম্পত্তি নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের।”

এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী শহরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিবির সাবেক এসি সাজ্জাদুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত

গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, ছাত্রলীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ২৭ লাখ টাকা নিজের হেফাজতে রাখার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৬ জুলাই) জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

 

সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদুর রহমান বর্তমানে ডিএমপি সদরদপ্তরে সংযুক্ত আছেন। এর আগে তিনি গোয়েন্দা রমনা বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলার আসামিকে ধরতে এবং আলামত উদ্ধারের নামে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নড়াইলের ভাওয়া এলাকায় যান।

 

অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় আসামি মো. আলিমুজ্জামান সৈকতের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তিনি ২৭ লাখ টাকা পান, যা বিধি অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত না করে নিজের কাছে রেখে দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাত্র ২২ লাখ টাকার কথা স্বীকার করেন।

 

এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা প্রযুক্তিগত আলামতের সঠিক জব্দ তালিকাও তৈরি করেননি তিনি। এমনকি আসামি আলিমুজ্জামান সৈকতকে আটক করেও গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে আসামির সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়েও তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রজ্ঞাপনে অসদাচরণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুসারে সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী ১৩ জুলাই থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

কুড়িগ্রামের সাত উপজেলায় হচ্ছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, ছাত্রলীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

দেশে ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান দক্ষ জনশক্তির চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার দেশের ৩২৯টি উপজেলায় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (TSC) স্থাপনের বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ১৯৬০ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম এত বড় পরিসরে সরকারি অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

 

কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান জানিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলায় বাছাই করে উন্নত অবকাঠামো ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষতা না থাকায় বর্তমানে দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিদেশে স্বল্প মজুরিতে শ্রম দিচ্ছেন। ফলে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সরকারের এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলায় সাতটি উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—ভুরুঙ্গামারী, চর রাজিবপুর, চিলমারী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রৌমারী ও উলিপুর উপজেলায়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আধুনিক কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে, যা জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

 

সরকারি এই উদ্যোগকে ঘিরে কুড়িগ্রামে ইতোমধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশায় তাকিয়ে আছেন এই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর কার্যক্রম শুরু হওয়ার দিকে।

নর্থ সাউথ গ্রুপের হাত ধরে স্বপ্নের ঠিকানা, পরিকল্পিত নগরায়ণের নতুন দিগন্ত

গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন, ছাত্রলীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রাজধানী ও আশপাশের মানুষের মাথার ওপর ছাদের স্বপ্নকে আরও কাছাকাছি আনতে এগিয়ে এসেছে নর্থ সাউথ গ্রুপ। ক্রমবর্ধমান আবাসন সংকট আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের চাপে যখন মানুষের স্বপ্নগুলো ধূলিসাৎ হতে বসেছিল, তখনই একের পর এক সমন্বিত আবাসন ও শিল্প প্রকল্প নিয়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

 

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আর মানুষের আস্থা নিয়ে “নর্থ সাউথ গ্রুপের” সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘নর্থ সাউথ গ্রিন সিটি’। রাজধানীর উত্তরের প্রাণকেন্দ্রে ছয়শ একরের বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে এই সবুজ নগরী। এখানে থাকবে প্রশস্ত রাস্তা, সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ, শিশুদের খেলার মাঠ, হাঁটার পথ, সিনিয়র সিটিজেন কর্নার, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চারপাশে গাছের সারি আর পর্যাপ্ত খোলা জায়গা মানুষকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে রাখবে। সর্বক্ষণিক সিসিটিভি আর আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে নির্ভার জীবনযাপন।

 

নর্থ সাউথ স্কয়ার সিটি’ হচ্ছে আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প। Planned Urbanization এর অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে উঠছে এটি। এখানে একই পরিসরে থাকবে অ্যাপার্টমেন্ট, শপিং মল, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও বিনোদন কেন্দ্র। শিশু ও বৃদ্ধবান্ধব নকশা, পর্যাপ্ত সবুজ জায়গা আর নিরাপত্তা — সবকিছুতেই থাকছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।

 

শুধু আবাসন নয়, দেশের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের দিগন্ত খুলতেও নর্থ সাউথ গ্রুপ কাজ করছে। এ লক্ষ্যেই তিনশ একর এলাকাজুড়ে ‘নর্থ সাউথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি’ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, গুদামঘর, পরিবহন সুবিধা ও অত্যাধুনিক অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে — যা দেশের শিল্পখাতকে নতুন গতি দেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

নিরাপদ ভ্যালি’ প্রকল্পটিও আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। এটি একটি আধুনিক কনডোমিনিয়াম প্রকল্প, যেখানে থাকবে সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট, টাউনহাউজ, স্বাস্থ্যসেবা, জিম, কমিউনিটি হল ও সর্বক্ষণিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে নবদম্পতি, প্রবাসী পরিবার ও নিরাপদ পরিবেশে থাকতে চাওয়া মানুষদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

সবশেষে, সমাজের পিছিয়ে থাকা ও অসহায় মানুষের জন্য ‘মানবিক আশ্রয়’ প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। নর্থ সাউথ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান (সাজু) আবাসন নিউজ২৪- কে বলেন,

“আবাসন খাত শুধু ধনীদের বিলাসিতা নয়, মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই প্রতিটি প্রকল্প আমরা এমনভাবে গড়ে তুলি যাতে গ্রাহকরা নিরাপদ, আরামদায়ক ও আধুনিক জীবনযাপন করতে পারেন। সাশ্রয়ী মূল্যে সঠিক নথিপত্রসহ হস্তান্তর করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আর সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্যও আমরা বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে উন্নয়নের সুফল সবাই পায়। ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টিই আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা।”

 

প্রতিটি প্রকল্পের গুণগত মান ও সময়মতো হস্তান্তর নিয়ে কোনও আপোষ নেই বলে জানালেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম ইউসুফ আলী। তিনি বলেন,

 “আমরা শুধু জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করি না, মানুষের স্বপ্নপূরণের সঙ্গী হতে চাই। প্রতিটি প্রকল্পেই শতভাগ আইনি স্বচ্ছতা ও নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর নিশ্চিত করা হচ্ছে। Planned Urbanization ও পরিবেশবান্ধব নকশার কারণে গ্রীন পার্ক, খোলা জায়গা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সোলার লাইটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”

নর্থ সাউথ গ্রুপের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন আরও পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আবাসন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দেওয়া।

রাজধানীর সীমাহীন চাপের মধ্যে নর্থ সাউথ গ্রুপের গ্রিন সিটি, স্কয়ার সিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি, নিরাপদ ভ্যালি ও মানবিক আশ্রয় প্রকল্প শুধু বসতি নয়, মানুষের স্বপ্নের সমাজ গড়ে তুলছে। সময়মতো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বসতির নতুন ঠিকানা হবে এগুলোই — এমন প্রত্যাশায় স্বপ্ন বুনছে হাজারো পরিবার।

×