| ১৪ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

দুদকের নজরে হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের দান-অনুদান, এনবিআরকে নথি তলবের চিঠি

দুদকের নজরে হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের দান-অনুদান, এনবিআরকে নথি তলবের চিঠি

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারত আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও মেয়ে—সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল—এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের মুখে।

 

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জয় প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশন যে বিপুল দান ও অনুদান পেয়েছে, তার হিসাব-নিকাশে জটিলতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়ে সব নথি ও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য দ্রুত সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

 

দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার এবং ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা প্রয়োজন।”

 

দুদক বলছে, রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে। একইসঙ্গে, পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধেও রয়েছে অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ।

 

এ বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধান করতে উপপরিচালক মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলে রয়েছেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মুর্তজা আলী সাগর, মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

উল্লেখ্য, গত মার্চে পুতুলের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি টাকার অনিয়ম ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের পরিচালক পদ ‘বাগিয়ে নেওয়া’র অভিযোগে দুদক দুইটি মামলা করেছে। এর আগেও পূর্বাচলে তথ্য গোপন করে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

হাইকোর্টে স্থগিত টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট জালিয়াতি মামলা, আপিলের ঘোষণা দুদকের

দুদকের নজরে হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের দান-অনুদান, এনবিআরকে নথি তলবের চিঠি

শেখ রেহানার কন্যা ও ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করা ফ্ল্যাট জালিয়াতির মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে শিগগিরই আপিল করবে দুদক।

 

গত ৮ জুলাই বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামি শাহ মো. খসরুজ্জামানের আবেদনের শুনানি শেষে মামলাটির ওপর রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী এম এ আজিজ খান জানিয়েছেন, এই মামলার স্থগিতাদেশ বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি চলছে।

 

প্রসঙ্গত, অভিযোগ আছে গুলশানের একটি প্লট নিয়ে ইস্টার্ন হাউজিংকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে একই ভবনে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। এ ঘটনায় দুদক গত ১৫ এপ্রিল টিউলিপের পাশাপাশি রাজউকের সাবেক দুই কর্মকর্তা শাহ খসরুজ্জামান ও সরদার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। এমন সময়ে আসামিপক্ষের এক চিঠিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের খবর জানতে পারে দুদক।

মহাখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধ বন্ধ যান চলাচল

দুদকের নজরে হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের দান-অনুদান, এনবিআরকে নথি তলবের চিঠি

রাজধানীতে বাইরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে ঢাকার মহাখালী রুটে ইনকামিং ও আউটগোয়িং যান চলাচল আংশিক বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ শুরু করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। রাজধানীতে অবাধে চলাচলের অনুমতির দাবিতে তারা এই অবরোধ করেন।

ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সার্জেন্ট আনিসুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, অবরোধের কারণে উত্তরা-মহাখালী রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ হয়ে আমতলী, কিংবা গুলশান-১ হয়ে পুলিশ প্লাজা হয়ে ইনকামিং যান চলাচল চালানো হচ্ছে। এছাড়া আউটগোয়িং রুটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। উত্তরা থেকে তেজগাঁও বা হাতিরঝিলের দিকেও এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নেওয়া যাচ্ছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়াল সরকার

দুদকের নজরে হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের দান-অনুদান, এনবিআরকে নথি তলবের চিঠি

সেনাবাহিনীসহ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোববার (১৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বা তার ঊর্ধ্বতন সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যাঁরা কোস্টগার্ড বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত আছেন, তাঁরাও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারার আওতায় এ ক্ষমতা ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগামী ৬০ দিন কার্যকর থাকবে। সারাদেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

কোন কোন ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা প্রযোজ্য হবে তাও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার। এরপর থেকে দুই মাস করে এর মেয়াদ নিয়মিতভাবে বাড়ানো হচ্ছে।

×