| ১৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগানে ক্ষুব্ধ ফজলুর রহমান

তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগানে ক্ষুব্ধ ফজলুর রহমান

ফজলুর রহমান : ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সম্প্রতি রাজপথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল, অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ ধরনের স্লোগানদাতাদের বিরুদ্ধে রাজপথে দাঁড়িয়ে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিক্রিয়ায় ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি সুস্পষ্ট কণ্ঠে সমস্ত জাতিকে বলতে চাই, বিএনপির নেতাকর্মীদের বলতে চাই— তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে যারা এসব কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়েছে, তাদের উচিত শিক্ষা দিতে রাজপথে নামুন। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই নোংরামির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এমন মানুষেরা এই দেশে মানুষ হিসেবে পরিচিত হওয়ার যোগ্য নয়।’

সম্প্রতি পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর রাজপথে কিছু মানুষ তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেয়। এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন ফজলুর রহমান।

মহাখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধ বন্ধ যান চলাচল

তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগানে ক্ষুব্ধ ফজলুর রহমান

রাজধানীতে বাইরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে ঢাকার মহাখালী রুটে ইনকামিং ও আউটগোয়িং যান চলাচল আংশিক বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ শুরু করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। রাজধানীতে অবাধে চলাচলের অনুমতির দাবিতে তারা এই অবরোধ করেন।

ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সার্জেন্ট আনিসুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, অবরোধের কারণে উত্তরা-মহাখালী রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ হয়ে আমতলী, কিংবা গুলশান-১ হয়ে পুলিশ প্লাজা হয়ে ইনকামিং যান চলাচল চালানো হচ্ছে। এছাড়া আউটগোয়িং রুটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। উত্তরা থেকে তেজগাঁও বা হাতিরঝিলের দিকেও এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নেওয়া যাচ্ছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়াল সরকার

তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগানে ক্ষুব্ধ ফজলুর রহমান

সেনাবাহিনীসহ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোববার (১৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বা তার ঊর্ধ্বতন সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যাঁরা কোস্টগার্ড বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত আছেন, তাঁরাও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারার আওতায় এ ক্ষমতা ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগামী ৬০ দিন কার্যকর থাকবে। সারাদেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

কোন কোন ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা প্রযোজ্য হবে তাও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার। এরপর থেকে দুই মাস করে এর মেয়াদ নিয়মিতভাবে বাড়ানো হচ্ছে।

ইরানের হা’ম’লায় ক্ষতিগ্রস্ত কাতারের মার্কিন ঘাঁটির স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে

তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগানে ক্ষুব্ধ ফজলুর রহমান

প্রায় এক মাস পর প্রকাশ্যে এলো ইরানের হামলায় কাতারের ‘আল উদেইদ’ মার্কিন বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট ল্যাব পিবিসির ছবি থেকে দেখা গেছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘাঁটির একটি অত্যাধুনিক জিওডেসিক ডোম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গম্বুজের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা নিরাপদে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন। এই হামলায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গোপন তথ্য আদান-প্রদানে প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত জুনে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘাঁটিতে কমপক্ষে ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তখন পেন্টাগন দাবি করেছিল, হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে হামলার আগে ও পরে তুলনা করে স্পষ্টভাবে ক্ষতির প্রমাণ মিলেছে।

মার্কিন প্রশাসন এই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি ‘আল উদেইদ’। কাতারের এই ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড—সেন্টকম-এর হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৬ সালে স্থাপিত এই ঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা এবং সর্বোচ্চ ১০০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন থাকে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করেছে এটি।

×