| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনা দ্বিতীয় দিন শেষ

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনা দ্বিতীয় দিন শেষ

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে চলমান শুল্ক-বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত তিন দিনব্যাপী আলোচনার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যতের বাণিজ্যের ধারা, শুল্ক কাঠামো ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন, যুক্তি-তর্ক এবং পর্যালোচনা হয়। একাধিক বিষয়ে উভয়পক্ষ প্রাথমিকভাবে একমত হলেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। এই অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে ওয়াশিংটন সময় শুক্রবার সকাল ৯টায় তৃতীয় দিনের বৈঠক শুরু হবে।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন একান্ত বৈঠক করেছেন ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসাডর জেমিসন গ্রিয়ার-এর সঙ্গে, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মন্ত্রী পদমর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন। শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য ও স্বার্থ নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ শুধু যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি নয়, আমদানিও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শুল্কে ন্যায্যতা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। জেমিসন গ্রিয়ার বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সরাসরি অংশ নেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হ’ত্যা: নরকে বাস করছি ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁধন

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনা দ্বিতীয় দিন শেষ

আজমেরী হক বাঁধন : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রজনী ঘোষ লেনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ ও আলোচনা।

সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে। দেশের শোবিজ অঙ্গনও থেমে নেই— অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নিজের তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাঁধন লিখেছেন, ‘‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। প্রকাশ্যে একজনকে হত্যা করা হচ্ছে আর আশেপাশের মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে—কেউ কিছু করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বাঁচছি?’’

বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘‘আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?’’

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, ‘‘আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি কি যা মনে করি তা বলতে পারি? নাকি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?’’

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না পেয়ে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। ইতিমধ্যে যুবদল অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে এবং পুলিশ প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

জয়া আহসান ও চন্দন রায় সান্যালের রোমান্টিক ফটোশুটে হইচই

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনা দ্বিতীয় দিন শেষ

জয়া আহসান : ছবি-সংগৃহীত

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান নতুন ছবি ‘ডিয়ার মা’র মুক্তি নিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী সপ্তাহেই ওপার বাংলার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এরইমধ্যে ছবির প্রচারে অংশ নিতে দারুণভাবে সরব হয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

‘ডিয়ার মা’র প্রমোশনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতার শীর্ষ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এর ফটোশুটে অংশ নেন জয়া আহসান ও ছবির সহশিল্পী চন্দন রায় সান্যাল। ফটোশুটের প্রকাশিত ছবিগুলোতে তাদের রোমান্টিক পোজ দেখে ইতোমধ্যেই চমকে গেছেন দুই বাংলার দর্শক ও জয়ার অনুরাগীরা।

এক ছবিতে দুজনকে একটি বাথটাবে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে দেখা গেছে, আরেকটিতে তারা সুইমিংপুলে পোজ দিয়েছেন। ছবি দুটিই নেটদুনিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলেছে।

‘ডিয়ার মা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো চন্দন রায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। ছবিটিতে রয়েছে দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেছেন, ‘‘এ ধরনের দৃশ্যের জন্য কমফোর্ট জোন তৈরি ছিল। পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী (টোণিদা) খুব অ্যাস্থেটিকভাবে দৃশ্যগুলো শুট করেছেন। তাই আমি কোনো চিন্তাই করিনি।’’

‘ডিয়ার মা’ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় জয়ার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে এই পরিচালকের হাত ধরেই ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল জয়ার। জানা গেছে, ‘ডিয়ার মা’র চিত্রনাট্য তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের জন্মদিনে, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর কাছ থেকে।

এছাড়া জয়ার হাতে এখন একাধিক নতুন ছবি। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলির ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার দ্বিতীয় ধাপ শেষ অমীমাংসিত ইস্যুতে চলবে আলোচনা

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনা দ্বিতীয় দিন শেষ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দুই দেশই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ সংক্রান্ত পরবর্তী বৈঠকের সময় ও তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এটি ভার্চুয়ালি বা সামনাসামনি—উভয়ভাবেই হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা, বাণিজ্যসচিব এবং অতিরিক্ত সচিব শনিবার (১২ জুলাই) দেশে ফিরবেন। প্রয়োজনে তারা আবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

তিন দিনের আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান আশা প্রকাশ করেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব বিষয়ের ইতিবাচক সমাধান সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এই দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ঢাকার পক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরাও আলোচনায় অংশ নেন। পুরো আলোচনার সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস।

×