হাসিনার অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

শেখ হাসিনা : ছবি-সংগৃহীত
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া প্রতিটি সহিংস ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (৯ জুলাই) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায়। বিবিসি আই ও বিবিসি বাংলার এক যৌথ প্রতিবেদনে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আন্দোলন দমনে তিনি সরাসরি মারণাস্ত্র ব্যবহার করে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতেই নতুন করে সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই সময়ে আন্দোলনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই সামরিক বাহিনীর রাইফেল ও শটগানের গুলিতে প্রাণ হারান, যা সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে। হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, যা তাদের স্বাভাবিক জীবনকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের উচিত এ সময় সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। তবে এই বিচারে কোনো অবস্থাতেই মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা যাবে না বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহিংসতায় শুধু যারা সরাসরি অংশ নিয়েছে তাদের নয়, বরং যারা এ ধরনের সহিংসতার নির্দেশ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।