| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

তারেক রহমান এখন আরও পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মাহমুদুর রহমান মান্না

তারেক রহমান এখন আরও পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মাহমুদুর রহমান মান্না

মাহমুদুর রহমান মান্না : ছবি-সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, ‘১৫ বছর আগে তারেক রহমানকে দেখেছি, তার বক্তব্য শুনেছি। তখনকার তারেক রহমান আর এখনকার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এখন তিনি আরও পরিণত, নম্র এবং যোগ্য নেতা হয়েছেন। এই পরিবর্তন আমাকে আশাবাদী করে তোলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কথা শুনে অনেকে ভাবতে পারেন, আমার কোনো স্বার্থ আছে। কিন্তু আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমি বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নাগরিক ঐক্য গড়েছি। সরকারি দলে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও যাইনি।’

তারেক রহমানের নেতৃত্বগুণ নিয়ে মান্না বলেন, ‘তার মধ্যে এখন নম্রতা এসেছে, তবে প্রয়োজনে তিনি কঠোর সিদ্ধান্তও নিতে পারেন। নেতৃত্বে এই বৈশিষ্ট্য থাকাই উচিত—ভেতরে স্বচ্ছতা আর প্রয়োজনে কঠোরতা।’

বিএনপির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি বিএনপি করি না, কিন্তু তাদের জেতার ভালো সুযোগ আছে। আমি চাই বিএনপি অন্তত ২০০ আসন পাক, বাকি ১০০ আসন অন্য দলগুলিকে ছেড়ে দিক। এতে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে বদলাতে হলে নিজেদেরও বদলাতে হবে। বিএনপিতে অনেক মেধাবী মানুষ আছে। তারেক রহমান যদি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হন, তাকে বুঝতে হবে—তিনি একক কর্তৃত্বে যাবেন, নাকি সম্মিলিত নেতৃত্বের পথে হাঁটবেন।’

মিটফোর্ডে সোহাগ হ’ত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মা’মলার আশ্বাস আসিফ নজরুলের

তারেক রহমান এখন আরও পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মাহমুদুর রহমান মান্না

আসিফ নজরুল : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার সকাল ১০টা ৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দোষীদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যস্ত সড়কে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে মরদেহের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।

পুলিশ ও মামলার তথ্য অনুযায়ী, চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহত সোহাগ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ওরফে মহিন যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল তাদের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও। বহিষ্কৃতরা হলেন চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হ’ত্যা: নরকে বাস করছি ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁধন

তারেক রহমান এখন আরও পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মাহমুদুর রহমান মান্না

আজমেরী হক বাঁধন : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রজনী ঘোষ লেনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ ও আলোচনা।

সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে। দেশের শোবিজ অঙ্গনও থেমে নেই— অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নিজের তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাঁধন লিখেছেন, ‘‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। প্রকাশ্যে একজনকে হত্যা করা হচ্ছে আর আশেপাশের মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে—কেউ কিছু করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বাঁচছি?’’

বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘‘আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?’’

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, ‘‘আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি কি যা মনে করি তা বলতে পারি? নাকি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?’’

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না পেয়ে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। ইতিমধ্যে যুবদল অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে এবং পুলিশ প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

জয়া আহসান ও চন্দন রায় সান্যালের রোমান্টিক ফটোশুটে হইচই

তারেক রহমান এখন আরও পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মাহমুদুর রহমান মান্না

জয়া আহসান : ছবি-সংগৃহীত

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান নতুন ছবি ‘ডিয়ার মা’র মুক্তি নিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী সপ্তাহেই ওপার বাংলার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এরইমধ্যে ছবির প্রচারে অংশ নিতে দারুণভাবে সরব হয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

‘ডিয়ার মা’র প্রমোশনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতার শীর্ষ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এর ফটোশুটে অংশ নেন জয়া আহসান ও ছবির সহশিল্পী চন্দন রায় সান্যাল। ফটোশুটের প্রকাশিত ছবিগুলোতে তাদের রোমান্টিক পোজ দেখে ইতোমধ্যেই চমকে গেছেন দুই বাংলার দর্শক ও জয়ার অনুরাগীরা।

এক ছবিতে দুজনকে একটি বাথটাবে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে দেখা গেছে, আরেকটিতে তারা সুইমিংপুলে পোজ দিয়েছেন। ছবি দুটিই নেটদুনিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলেছে।

‘ডিয়ার মা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো চন্দন রায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। ছবিটিতে রয়েছে দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেছেন, ‘‘এ ধরনের দৃশ্যের জন্য কমফোর্ট জোন তৈরি ছিল। পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী (টোণিদা) খুব অ্যাস্থেটিকভাবে দৃশ্যগুলো শুট করেছেন। তাই আমি কোনো চিন্তাই করিনি।’’

‘ডিয়ার মা’ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় জয়ার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে এই পরিচালকের হাত ধরেই ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল জয়ার। জানা গেছে, ‘ডিয়ার মা’র চিত্রনাট্য তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের জন্মদিনে, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর কাছ থেকে।

এছাড়া জয়ার হাতে এখন একাধিক নতুন ছবি। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলির ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’।

×