| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

শাকিব-অপুর বিয়ের অজানা গল্প প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

শাকিব-অপুর বিয়ের অজানা গল্প প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

অপুবিশ্বাস : ছবি-সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস একসঙ্গে কাজ করেছেন বহু হিট ছবিতে। তবে শুধু পর্দাতেই নয়, বাস্তব জীবনেও তাদের সম্পর্ক নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। প্রেম, লুকিয়ে বিয়ে, সন্তান আর শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ—সব মিলিয়ে তাদের জীবনের গল্প এখনো শিরোনামে থাকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব প্রসঙ্গ ফের উঠে আসে অপু বিশ্বাসের কথায়। সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, শাকিবের সঙ্গে বিয়ের সময় কত ভরি গহনা পরেছিলেন? এমন প্রশ্নে কিছুটা অপ্রস্তুত হলেও অপু হেসে বলেন, ‘কত ভরি, সেটা বলা কি খুব দরকার? গোপনে বিয়ে করেছিলাম তো। সুতরাং যতটা পরার কথা ছিল ততটা পরিনি। খুবই ছিমছামভাবে বিয়ে হয়েছিল আমাদের।’

বিয়ের পর অপু বিশ্বাসের ধর্ম পরিবর্তন নিয়েও একসময় নানা গুঞ্জন শোনা যায়। এ নিয়ে অপু স্পষ্ট করে বলেন, ‘সত্যি বলতে, বিয়ের পরও আমি নিজের ধর্মেই ছিলাম। ক্যামেরার সামনে অনেক মিথ্যা বলেছি, ক্যারিয়ারের জন্য। শাকিব তখন আমার স্বামী ছিল, তাকে সাপোর্ট করাই দায়িত্ব ছিল। সবাই ভাবত যেহেতু আমি মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছি, আমিও মুসলিম হয়েছি। কিন্তু আসলে আমি হিন্দুই ছিলাম এবং আছি। বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি।’

অপু বিশ্বাস আরো জানান, সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মের বিষয়টি তারা দুজনেই গোপন রেখেছিলেন। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল হঠাৎ এক টিভি লাইভে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর প্রকাশ করেন অপু। শাকিব-অপুর বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। তাদের ছেলে জয় জন্ম নেয় ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর ২০১৮ সালের ১২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

বিয়ের অজানা গল্প থেকে সন্তান আর ধর্ম পরিবর্তনের গুঞ্জন—সব মিলিয়ে শাকিব-অপু জুটির বাস্তব গল্প আজো ভক্তদের আলোচনার কেন্দ্রে।

মিটফোর্ডে সোহাগ হ’ত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মা’মলার আশ্বাস আসিফ নজরুলের

শাকিব-অপুর বিয়ের অজানা গল্প প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

আসিফ নজরুল : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার সকাল ১০টা ৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দোষীদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যস্ত সড়কে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে মরদেহের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।

পুলিশ ও মামলার তথ্য অনুযায়ী, চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহত সোহাগ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ওরফে মহিন যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল তাদের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও। বহিষ্কৃতরা হলেন চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হ’ত্যা: নরকে বাস করছি ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁধন

শাকিব-অপুর বিয়ের অজানা গল্প প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

আজমেরী হক বাঁধন : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রজনী ঘোষ লেনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ ও আলোচনা।

সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে। দেশের শোবিজ অঙ্গনও থেমে নেই— অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নিজের তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাঁধন লিখেছেন, ‘‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। প্রকাশ্যে একজনকে হত্যা করা হচ্ছে আর আশেপাশের মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে—কেউ কিছু করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বাঁচছি?’’

বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘‘আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?’’

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, ‘‘আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি কি যা মনে করি তা বলতে পারি? নাকি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?’’

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না পেয়ে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। ইতিমধ্যে যুবদল অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে এবং পুলিশ প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

জয়া আহসান ও চন্দন রায় সান্যালের রোমান্টিক ফটোশুটে হইচই

শাকিব-অপুর বিয়ের অজানা গল্প প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

জয়া আহসান : ছবি-সংগৃহীত

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান নতুন ছবি ‘ডিয়ার মা’র মুক্তি নিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী সপ্তাহেই ওপার বাংলার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এরইমধ্যে ছবির প্রচারে অংশ নিতে দারুণভাবে সরব হয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

‘ডিয়ার মা’র প্রমোশনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতার শীর্ষ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এর ফটোশুটে অংশ নেন জয়া আহসান ও ছবির সহশিল্পী চন্দন রায় সান্যাল। ফটোশুটের প্রকাশিত ছবিগুলোতে তাদের রোমান্টিক পোজ দেখে ইতোমধ্যেই চমকে গেছেন দুই বাংলার দর্শক ও জয়ার অনুরাগীরা।

এক ছবিতে দুজনকে একটি বাথটাবে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে দেখা গেছে, আরেকটিতে তারা সুইমিংপুলে পোজ দিয়েছেন। ছবি দুটিই নেটদুনিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলেছে।

‘ডিয়ার মা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো চন্দন রায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। ছবিটিতে রয়েছে দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেছেন, ‘‘এ ধরনের দৃশ্যের জন্য কমফোর্ট জোন তৈরি ছিল। পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী (টোণিদা) খুব অ্যাস্থেটিকভাবে দৃশ্যগুলো শুট করেছেন। তাই আমি কোনো চিন্তাই করিনি।’’

‘ডিয়ার মা’ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় জয়ার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে এই পরিচালকের হাত ধরেই ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল জয়ার। জানা গেছে, ‘ডিয়ার মা’র চিত্রনাট্য তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের জন্মদিনে, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর কাছ থেকে।

এছাড়া জয়ার হাতে এখন একাধিক নতুন ছবি। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলির ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’।

×