| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নি’হত ৩১ আ’হত শতাধিক

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নি’হত ৩১ আ’হত শতাধিক

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১০৭ জন। বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা কেনিয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কেএনসিএইচআর)-এর তথ্য উল্লেখ করে এ খবর জানায়।

কেএনসিএইচআর জানিয়েছে, পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে ১৯৯০ সালের একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের ‘সাবা সাবা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার রাজধানী নাইরোবি ও এলডোরেটসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নামে মানুষ। মিছিল থেকে দুজনকে গুম করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে কমিশন জানিয়েছিল, বিক্ষোভ চলাকালে ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১০ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে সর্বশেষ সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।

কেএনসিএইচআর অভিযোগ করেছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র গ্যাং চাপাতি ও বর্শা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষে সুপারমার্কেটসহ বহু দোকানপাট ও সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্বশীল সব পক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।

১৯৯০ সালের ৭ জুলাই কেনিয়ায় একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণকে স্মরণ করতে প্রতিবছর ‘সাবা সাবা দিবস’ পালন করা হয়। এবার সেই দিনে বিক্ষোভকারীরা অর্থনীতি, দুর্নীতি ও পুলিশের সহিংসতার প্রতিবাদে রাজপথে নামে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবিও তোলেন।

কেনিয়ার ল সোসাইটি ও পুলিশ রিফর্মস ওয়ার্কিং গ্রুপ জানিয়েছে, সোমবার ৪৭টি কাউন্টির মধ্যে ২০টিতেই বিক্ষোভ হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সামরিক গ্রেডের অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যারা মুখোশ পরে এবং পরিচয় গোপন রাখতে চিহ্নবিহীন গাড়ি ব্যবহার করেছে।

বিক্ষোভে সহিংসতা ঠেকাতে সম্প্রতি পুলিশকে ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরও কেনিয়ায় বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এদিকে কেনিয়ার জাতীয় সমন্বয় ও সংহতি কমিশন পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সমালোচনা করেছে এবং রাজনীতিবিদদের জাতিগত উত্তেজনা না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা বিএনপি মহাসচিবের

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নি’হত ৩১ আ’হত শতাধিক

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকাশ্যে সংঘটিত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবনহানি নয়, এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিএনপির নীতি ও আদর্শের সঙ্গে কোনো সন্ত্রাস বা সহিংসতার সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও গভীর হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’

এর আগে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহের ওপরও বর্বরতা চালানো হয়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে যুবদল। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো ধরনের শৈথিল্য না দেখিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বাধ্যতামূলক ছুটিতে

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নি’হত ৩১ আ’হত শতাধিক

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল : ছবি-সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক সংস্থা হেলথ পলিসি ওয়াচ।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চার মাস আগে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, WHO’র আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পেতে তিনি ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ব্যবহার করেছেন, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারার লঙ্ঘন।

২০২৩ সালের শুরুর দিকে WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন সায়মা ওয়াজেদ, যিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে।

পুতুলের ছুটির সময়ে WHO’র সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোহমে ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জামায়াতের সঙ্গে আর জোট নয়এনসিপির সঙ্গে আলোচনা চালাবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নি’হত ৩১ আ’হত শতাধিক

সালাহউদ্দিন আহমেদ : ছবি-সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে আর কোনো নির্বাচনি জোট গঠন করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা জামায়াতকে নিয়ে আর কোনো জোটের সম্ভাবনা দেখছি না। অতীতে কৌশলগত কারণে তাদের সঙ্গে ছিলাম, এবার প্রয়োজন নেই।”

তিনি জানান, বিএনপি এখন একমাত্র সেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোটে মনোযোগী, যারা একযোগে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ আলোচনার দরকার নেই। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সমাধান দরকার।” তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশাবাদও ব্যক্ত করেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতি উপযোগী নয়। এ ব্যবস্থা জনগণের সরাসরি ভোটাধিকারকে দুর্বল করবে।”

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এক ধরনের ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছে।”

×