| ১২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

বর্তমানে সুস্থ জীবনযাপন ও ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কেউ ট্রেডমিলে ঘাম ঝরাচ্ছেন, কেউ খাবারে ক্যালরি মেপে চলছেন। তবে শুধু ডায়েট বা ব্যায়াম করলেই হবে না—বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে যেতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফলভাবে ওজন কমাতে হলে কিছু বৈজ্ঞানিক দিক মাথায় রাখা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নিই এমন কয়েকটি বিষয়—

মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া:
সবার বিপাকক্রিয়া বা মেটাবলিজম এক রকম নয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত চর্বি, অনিয়মিত খাওয়া কিংবা শরীরে পেশির ঘাটতিও বিপাকক্রিয়াকে ব্যাহত করে, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।

ঘুমের অভাব:
পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কম ঘুম হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, মেটাবলিজমের গতি কমায় এবং শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

খাওয়ার পরপরই ঘুম:
রাতের খাবারের পরপরই শুয়ে পড়লে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। হজম ঠিকমতো না হলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। তাই রাতের খাবারের অন্তত ২–৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাওয়া উচিত।

নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা:
কিছু রোগ ওজন কমানোর পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), হরমোনের অসামঞ্জস্য, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এসব সমস্যার চিকিৎসা ছাড়া ওজন কমানো কঠিন।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
কিছু ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক স্বাস্থ্য বা ডায়াবেটিসের ওষুধ শরীরে চর্বি জমাতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে শুধু ব্যায়াম বা ডায়েট নয়, জীবনযাত্রার নানা দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হ’ত্যা: ‘সমাজ জেগে উঠুন’—ডা. শফিকুর রহমান

ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

ডা. শফিকুর রহমান : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বার্তায় এ ঘটনার নিন্দা জানান।

তিনি লেখেন, ‘‘মিটফোর্ডের ঘটনা বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় জেনে সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এ কোন যুগ, কোন সমাজ! প্রকাশ্যে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শত শত মানুষের সামনে এতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!’’

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে লজ্জা প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘‘হে মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে সোহাগ ভাই, তোমার এই পরিণতির আগে আমরা কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি—এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও লজ্জিত।’’

তিনি সবাইকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বাঁচার প্রমাণ দাও। মনে রেখো—আজ তুমি চুপ থাকলে, কাল তোমার ওপরও বিপদ এলে পাশে কাউকে পাবে না। তাই ভয় ও সংকোচ দূরে রেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহের ওপরও বর্বরতা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা বিএনপি মহাসচিবের

ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকাশ্যে সংঘটিত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবনহানি নয়, এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিএনপির নীতি ও আদর্শের সঙ্গে কোনো সন্ত্রাস বা সহিংসতার সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও গভীর হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’

এর আগে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহের ওপরও বর্বরতা চালানো হয়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে যুবদল। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো ধরনের শৈথিল্য না দেখিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বাধ্যতামূলক ছুটিতে

ওজন কমাতে শুধু ডায়েট নয় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোও

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল : ছবি-সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক সংস্থা হেলথ পলিসি ওয়াচ।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চার মাস আগে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, WHO’র আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পেতে তিনি ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ব্যবহার করেছেন, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারার লঙ্ঘন।

২০২৩ সালের শুরুর দিকে WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন সায়মা ওয়াজেদ, যিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে।

পুতুলের ছুটির সময়ে WHO’র সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোহমে ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

×