| ৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

চুক্তি না হলে পুনরায় উচ্চ শুল্ক আজ থেকে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প

চুক্তি না হলে পুনরায় উচ্চ শুল্ক আজ থেকে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প : ছবি-সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আজ সোমবার (৭ জুলাই) থেকে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে ‘শুল্ক চিঠি’ পাঠানো শুরু হবে। এসব চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে, বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে চুক্তি না হলে আগের মতোই উচ্চ শুল্ক আবার কার্যকর হবে।

রবিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, প্রথম দফায় ১৫টি দেশের কাছে এ ধরনের চিঠি পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে দেশগুলোকে সময় দেওয়া হবে চুক্তি চূড়ান্ত করতে, অন্যথায় আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ হবে।

তবে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, শুল্ক ব্যবস্থা ১ আগস্টের আগে কার্যকর হবে না, যাতে চুক্তির জন্য আরও কিছু সময় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, শুল্ক সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশাল’ প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, সোমবার (জুলাই ৭) দুপুর ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) থেকে শুল্ক চিঠি পাঠানো শুরু হবে।”

পরবর্তী এক পোস্টে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা উদীয়মান ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প এ জোটের দেশগুলোকে ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ মনোভাবের জন্য দায়ী করেন।

১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় বিসিসিটি হবে আধুনিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ

চুক্তি না হলে পুনরায় উচ্চ শুল্ক আজ থেকে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান : ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে (বিসিসিটি) দক্ষ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ১০ বছর মেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান প্রণয়নসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে বিসিসিটি কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সময়োপযোগী করে সংশোধন ও নির্দেশিকা হালনাগাদ করা হবে। সরকারি জমি বরাদ্দ পেলে বিসিসিটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে আরও স্থায়ী ও গতিশীল করবে।’

রিজওয়ানা হাসান জানান, ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর পেটেন্ট অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রকল্প তদারকিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাস্টের জনবলকে আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ ও কার্যকর করে তুলতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালি উল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা

চুক্তি না হলে পুনরায় উচ্চ শুল্ক আজ থেকে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভ্যাট, আয়কর ও শুল্কসহ তিনটি প্রধান খাত থেকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।

সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, “রাজস্ব আদায় নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। কর্মকর্তারা স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন।”

তিনি জানান, কাস্টমস ডিউটি পেমেন্ট এখন থেকে অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে সরাসরি সরকারি কোষাগারে যাবে, যা পণ্য খালাসের জটিলতা কমাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা।

গাজায় নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ইসরায়েলি সেনার

চুক্তি না হলে পুনরায় উচ্চ শুল্ক আজ থেকে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প

গাজা উপত্যকায় দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা স্কাই নিউজকে দেওয়া এক বিরল ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার ইউনিটকে প্রায়ই ‘নো-গো জোন’ বলে চিহ্নিত এলাকায় যে-ই প্রবেশ করুক, সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র, তাকে গুলি করে হত্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হতো।

নিজের নিরাপত্তার জন্য নাম গোপন রেখে ওই সেনা জানান, “যেই নির্ধারিত সীমারেখা পার হবে, সে মরবে — কে সে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।” তিনি অভিযোগ করেন, গাজায় বেসামরিকদের নির্বিচারে গুলি করা হতো এবং প্রায়ই সেনাদের আচরণ নির্ভর করত তাদের কমান্ডারের মর্জির ওপর।

তিনি জানান, তিনি ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) ২৫২তম ডিভিশনের সদস্য হিসেবে গাজার কেন্দ্র দিয়ে গড়ে ওঠা ‘নেটজারিম করিডোরে’ দুই দফায় মোতায়েন ছিলেন — যা গাজা ভূখণ্ডকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়।

তিনি বলেন, “আমরা এমন ঘর দখল করেছি যেখানে একসময় গাজাবাসীরা থাকত। সেই ঘর ঘিরে ‘নো-গো জোন’ তৈরি করা হতো। বলা হতো গাজার সবাই জানে এখানে ঢোকা মানা, কিন্তু তারা কীভাবে জানবে?”

তার ভাষ্যমতে, কিশোররা কখনো সাইকেল চালিয়ে সীমারেখায় চলে এলে তাকেও গুলি করা হয়েছে। অনেক সেনাই মনে করতেন, গাজার কেউই নির্দোষ নয় — ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য পুরো গাজা জনগণকেই দায়ী করা হতো। কেউ কেউ বলতো, “ওরা আমাদের কষ্ট দেখে আনন্দ করছিল, তাই ওদের মরাই উচিত।”

তিনি অভিযোগ করেন, নিয়মিত এমন কথাবার্তা হতো এবং বেশিরভাগ কমান্ডারই তা সমর্থন করতেন। অনিয়মিত আদেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কখনো সীমা পার হলে গুলি করতে বলা হতো, কখনো বলা হতো মরদেহ নিতে এলে বন্দি করতে — আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন আদেশ আসত, সবাইকে গুলি করতে হবে।

সেনাটি বলেন, “সব কিছু যেন ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’-এর মতো হয়ে গেছে। কেউ যা খুশি করছে, কোনো জবাবদিহিতা নেই।” তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, খুব খারাপ কিছুতে অংশ নিয়েছি। তাই এখন সত্যিটা প্রকাশ করতে চাই।”

তিনি স্বীকার করেন, ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা প্রায় অসম্ভব এবং কেউ তা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে দেখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার বক্তব্য হয়তো সত্যকে সামনে আনতে সাহায্য করবে।

এদিকে আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন ও নিজস্ব নিয়ম মেনেই কাজ করছে এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এ অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য না থাকায় তারা আলাদা করে কোনো তদন্ত শুরু করতে পারছে না। যথাযথ তথ্য পেলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে আইডিএফ।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এমন অভিযোগগুলো যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে এবং এর সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন।

×