| ৬ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার রোধে নেই কার্যকর আইন বাড়ছে শঙ্কা

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার রোধে নেই কার্যকর আইন বাড়ছে শঙ্কা

গত বছরের আগস্টে দেশের আটটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার সময় একটি সাদা-কালো ছবি ভাইরাল হয়—যেখানে দেখা যায়, তিন-চার বছরের এক শিশু প্রায় কাঁধ পর্যন্ত বন্যার পানিতে দাঁড়িয়ে আছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল থেকে শুরু করে অভিনেত্রী পরীমণিও সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন। তবে পরে জানা যায়, হৃদয় নাড়া দেওয়া সেই ছবিটি বাস্তবে তোলা নয়, তৈরি হয়েছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

এই ঘটনা স্পষ্ট করেছে, বাংলাদেশে এআই-এর সম্ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে এর অপব্যবহারও বাড়ছে। অথচ দেশের এই খাতে এখনো নেই কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন, নীতিমালা বা কার্যকর গাইডলাইন। ফলে অনেকে এটিকে দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন বলেন, জেনারেটিভ এআইয়ের কারণে যেকোনো মানুষের কণ্ঠ বা চেহারা সহজেই নকল করা সম্ভব হচ্ছে, যা সারা বিশ্বের জন্যই বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, সরকার জাতীয় এআই পলিসি তৈরিতে কাজ করছে। তবে খসড়া নীতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি যেমন জীবন সহজ করে, তেমনি অপব্যবহার হলে তৈরি করে ভয়াবহ পরিস্থিতি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু বলেন, ‘‘কোনো প্রযুক্তি কতটুকু ব্যবহার করা যাবে, সেটির সীমা ও জবাবদিহিতা না থাকলে অপব্যবহার ঠেকানো সম্ভব নয়।’’

এআই খাতে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশ ইতিমধ্যেই কঠোর আইন ও নীতি তৈরি করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এআই আইন পাস করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে এক্সিকিউটিভ অর্ডারসহ একাধিক আইন, কানাডা ও ভারতও এআই নীতিমালা কার্যকর করছে। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনও এআই ব্যবহার নিয়ে কঠোর নীতি প্রণয়ন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এআইকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে শিগগিরই স্পষ্ট আইন, নীতিমালা ও গাইডলাইন তৈরি করতে হবে, যাতে এর সুবিধা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি অপব্যবহারও বন্ধ করা সম্ভব হয়।

সকালের নাশতায় কী করবেন ভুল না: পুষ্টি ও সময়মতো খাবারের গুরুত্ব

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার রোধে নেই কার্যকর আইন বাড়ছে শঙ্কা

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়েদের প্রথম চিন্তা থাকে, নাশতায় কী রান্না করবেন। কিন্তু ব্যস্ততায় অনেক সময়ই সকালের নাশতার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন তা শুধু শরীরের জন্য নয়, পুরো দিনের কর্মক্ষমতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু পেট ভরে খাওয়া যথেষ্ট নয়, বরং সকালের খাবারে কিছু ভুল এড়িয়ে চলাও জরুরি। নাহলে হজমে সমস্যা, ওজন বাড়া, শক্তির অভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের অভাব হলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কারণ প্রোটিন পেট ভরে রাখে দীর্ঘ সময়। ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ও দই সকালের খাবারে রাখা উচিত।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে নাশতা না খেয়ে বা অল্প খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান, যা শরীরের পুষ্টি গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে।

সকালের নাশতার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ; দেরিতে খেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত।

সারাদিনের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে সকালের নাশতা পরিমিত, পুষ্টিকর ও সময়মতো হওয়া আবশ্যক।

ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন— চালকুমড়ার যত গুণ

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার রোধে নেই কার্যকর আইন বাড়ছে শঙ্কা

চালকুমড়া আমাদের আশপাশে খুব সহজেই পাওয়া গেলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। এই স্বল্পক্যালরির সবজি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীর-সৌন্দর্যের যত্নেও সমানভাবে উপকারী।

চালকুমড়াতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও সামান্য শর্করা থাকে। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং রক্তনালিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য চালকুমড়া দারুণ একটি খাবার। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়।

ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল, চুল হয় শক্ত ও চকচকে। বয়সের ছাপও কমায় এটি।

গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চালকুমড়া খেলে আরাম মেলে। বিশেষ করে এর বীজ হজমে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর যত্নে ‘ব্রেইন ফুড’
এটি স্নায়ুকে শান্ত রাখে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়— এজন্য চালকুমড়াকে ‘ব্রেইন ফুড’ বলা হয়। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস চালকুমড়ার রস খেলে উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চালকুমড়া যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় চালকুমড়া রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবার নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার রোধে নেই কার্যকর আইন বাড়ছে শঙ্কা

অনেকে রক্তচাপ ঠিক রাখতে খাবারে লবণ কমিয়ে দেন বা ওষুধ খান, তবুও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় না—এর বড় কারণ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু গোপন সোডিয়াম বোমা থেকে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুধু লবণ নয়, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়াতে হবে। যেমন—সসেজ, নাগেট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই বেশি। ৮৫ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসেই থাকে প্রায় ৭৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম।

তাছাড়া সয়া সস, কেচাপ, রেডিমেড মশলা ও বারবিকিউ সসের মতো সসেও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। চিজও বিপজ্জনক—১০০ গ্রাম চিজে প্রায় ৬০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

চিনিযুক্ত কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক ও অতিরিক্ত চা-কফি রক্তচাপকে আরও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে।

কী খাবেন:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, বিটের রস, তরমুজ ও ফার্মেন্টেড খাবার (দই, কিমচি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার) খেলে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও জরুরি।

×