| ৫ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

শোবিজে বাড়ছে এআই ব্যবহার হু’মকি নয় সম্ভাবনা বলছেন নির্মাতারা

শোবিজে বাড়ছে এআই ব্যবহার হু’মকি নয় সম্ভাবনা বলছেন নির্মাতারা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নিয়ে চলছে হুলুস্থুল। বাংলাদেশেও শোবিজ অঙ্গনে বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণে বাড়ছে এর ব্যবহার। নতুন এই প্রযুক্তি হুমকি না সম্ভাবনা—এই নিয়ে ভিন্নমত নয়, বেশিরভাগ নির্মাতাই এটাকে ভবিষ্যতের হাতিয়ার বলেই দেখছেন।

‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এর নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল এরই মধ্যে এআই দিয়ে শর্টফিল্ম ও মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এআই কোনো ম্যাজিক নয়, এটা টুল মাত্র। মেধাবীরা কখনো বেকার হবে না।”

‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর দীপঙ্কর দীপনের মতে, “ভবিষ্যতের নির্মাণ হবে মানুষ ও এআই-এর সমন্বয়ে। স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে মার্কেটিং—সবই সহজ হবে।”

রাকা নোশিন নাওয়ার বলেন, “এআইয়ে কাজের গতি বেড়েছে। তবে শিখে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।”

‘কারাগার’-এর সৈয়দ আহমেদ শাওকীও মনে করেন, “এআই মানুষের নির্দেশনা ছাড়া কিছু নয়। এটাকে কাজে লাগাতেই হবে।”

হলিউডে এআই নিয়ে বড় আন্দোলন হলেও, বাংলাদেশি নির্মাতারা ঝুঁকির চেয়ে সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন।

দেশীয় ফ্রিজ ও এসি শিল্পে শুল্ক ছাড়: বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে শঙ্কা

শোবিজে বাড়ছে এআই ব্যবহার হু’মকি নয় সম্ভাবনা বলছেন নির্মাতারা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শিল্পবান্ধব নীতি ও কর সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প, বিশেষ করে ফ্রিজ, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদন খাত, উৎপাদনমুখী পর্যায়ে এগিয়ে গেছে। দেশীয় উদ্যোক্তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও কারখানা স্থাপন করে খুচরা যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেশেই তৈরি করছেন।

তবে সম্প্রতি এনবিআর একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে উৎপাদিত কিছু উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এতে উদ্যোক্তাদের দাবি, দেশীয় শিল্পের টেকসই বিকাশের পথে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। এতে বিদ্যমান বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং উৎপাদনের আড়ালে আমদানিনির্ভর সংযোজন শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, যেসব যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে দেশেই তৈরি হচ্ছে, সেগুলো আমদানির সুযোগ থাকলে উদ্যোক্তাদের কাছে উৎপাদনের চেয়ে আমদানি লাভজনক হয়ে উঠবে। এতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ পড়বে।

তারা দাবি তুলেছেন, দেশে উৎপাদিত যেসব খুচরা যন্ত্রাংশ ও উপকরণ এরই মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে, সেগুলোর আমদানিতে শুল্ক ছাড় বাতিল করে পূর্বের মতো সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হোক। এতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা পাবে এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত হবে বলে মত দিয়েছেন শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা।

আর্থিক নিয়ম ভাঙায় বার্সেলোনা-চেলসিসহ চার ক্লাবকে উয়েফার রেকর্ড জরিমানা

শোবিজে বাড়ছে এআই ব্যবহার হু’মকি নয় সম্ভাবনা বলছেন নির্মাতারা

ইউরোপের শীর্ষ চারটি ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে কড়া জরিমানা করেছে উয়েফা। শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা ও ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁওকে জরিমানার ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ইএসপিএনের তথ্য অনুযায়ী, ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরিমানা হয়েছে চেলসির—৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার)। ইউরোপে কোনো ক্লাবকে এক মৌসুমে এর চেয়ে বড় আর্থিক জরিমানা আগে আর করা হয়নি। আর্থিক নিয়ম মেনে ব্যয় না করায় ও আয়ের বড় অংশ স্কোয়াড খরচে ব্যয় করায় এই জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের।

অর্থ সংকটে থাকা বার্সেলোনার জরিমানার অঙ্ক ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার)। এর আগে ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য ভুল উপস্থাপন করায় বার্সাকে আরও ৫ লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল।

অন্যদিকে ইউরোপের কনফারেন্স লিগে বাজেটের সীমা অতিক্রম করায় অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো ও অলিম্পিক লিঁওকে ১২.৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। লিঁও যদি ভবিষ্যতের আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তারা ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে বলে জানিয়েছে উয়েফা।

উয়েফা বলেছে, ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোকে টেকসই আর্থিক কাঠামো বজায় রাখতে হবে—তাই এই কড়া ব্যবস্থা।

পায়ের কিছু ছোট লক্ষণেই বুঝে নিন শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শোবিজে বাড়ছে এআই ব্যবহার হু’মকি নয় সম্ভাবনা বলছেন নির্মাতারা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত অজানা সমস্যাই না ঘটে যায়! তবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিকে আমরা অনেকেই গুরুত্ব দিই না। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, অল্প কিছু লক্ষণেই বুঝে নেওয়া যায় শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেছে কি না, বিশেষ করে পায়ের দিকে নজর দিলে সহজেই পাওয়া যায় এই সতর্ক সংকেত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহফুজা রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের শহুরে মানুষজনের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ কর্মব্যস্ততা আর বাড়তি গৃহকেন্দ্রিক জীবনধারা মানুষকে দিনের পর দিন সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখছে। আর সেখানেই শিকড় গাড়ছে ভিটামিন ডি-এর অভাব।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তানভীর আহমেদ বলছেন, ‘‘ভিটামিন ডি আমাদের হাড়, দাঁত, পেশি, এমনকি স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতে অত্যন্ত জরুরি। পায়ের ব্যথা বা অস্বাভাবিক দুর্বলতা প্রায়ই প্রথম সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে।’’

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে?

চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই খেয়াল রাখুন পায়ের পেশীতে অস্বস্তি বা অল্পতেই টান ধরা নিয়ে। অনেকেই রাতে বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর পায়ের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন, যা শুধু পানিশূন্যতা নয়, ভিটামিন ডি-এর অভাব থেকেও হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, হাড়ে অস্বাভাবিক ব্যথা বা হাঁটার সময় পায়ের পাতায় বা গোড়ালিতে অল্পতেই ব্যথা অনুভূত হলে তা উপেক্ষা করবেন না। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়কে শক্ত রাখে। এর অভাবে হাড় ক্রমে দুর্বল হতে শুরু করে।

তৃতীয়ত, যারা বারবার পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভুগছেন অথচ পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না, তারা একবার ভিটামিন ডি পরীক্ষা করিয়ে দেখতে পারেন। কারণ দীর্ঘস্থায়ী শুষ্ক ত্বক অনেক সময় ভেতরের পুষ্টি ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।

চতুর্থত, অল্পতেই পা ভারি বা ক্লান্ত লাগা কিংবা দিনের শুরুতেই পায়ে জড়তা অনুভব হওয়া — এটিও অবহেলা করার মতো নয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার মাহফুজা রহমান বলেন, ‘‘অনেকেই মনে করেন একটু বিশ্রাম নিলেই এই ক্লান্তি কেটে যাবে। কিন্তু এটি যদি নিয়মিত ঘটে, তাহলে তা শরীরের ভেতরের বড় কোনো ঘাটতির লক্ষণও হতে পারে।’’

ভিটামিন ডি এর মূল উৎস সূর্যের আলো হলেও শহরের মানুষদের জন্য সহজে রোদে যাওয়া যেন আর হয়ে উঠছে না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোতে পা, হাত বা মুখ খোলা রাখা উচিত। বিশেষ করে সকাল আটটা থেকে দশটার মধ্যে এই অভ্যাসটি সবচেয়ে কার্যকর।

অনেকে খাদ্যাভ্যাসেও সচেতন থাকেন না। অথচ কিছু সাধারণ খাবার সহজেই এই ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, দুধ, দই, ছানা ইত্যাদি নিয়মিত খাবারে রাখলে শরীরে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়তে থাকে।

তবে অনেক সময় সঠিক খাবার ও রোদেও ঘাটতি পূরণ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই নিজে থেকে না নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়াই নিরাপদ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়। তবে কর্মজীবী যুবক-যুবতীরাও ঝুঁকির বাইরে নন। তাই পরিবারে যেকোনো বয়সী সদস্য যদি প্রায়ই পায়ের পেশীতে ব্যথা, অস্থি দুর্বলতা, ত্বক শুষ্ক হওয়া বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে আর দেরি না করে একবার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।

চিকিৎসকরা জোর দিয়ে বলছেন, কোনো অস্বস্তিকে কখনোই হালকাভাবে নেবেন না। আপনার পায়ের অজানা ব্যথাই হতে পারে শরীরের ভেতরকার বড় রোগের প্রথম সঙ্কেত। সময়মতো সচেতন হওয়া আর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই হতে পারে সুস্থ থাকার সেরা উপায়।

শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে। তাই এখন থেকেই পরিবারের সবাইকে বলুন, রোদে কিছুক্ষণ সময় কাটান, খাবারে ভিটামিন ডি-এর উৎস বাড়ান আর পায়ের অজানা ব্যথাকে কখনো অবহেলা করবেন না। নিজের যত্ন নিন, পরিবারকেও সচেতন করুন — সুস্থ থাকুন সবাই।

×