| ৫ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃ’ত্যু ১০ আ’হত ৯

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃ’ত্যু ১০ আ’হত ৯

পাকিস্তানের করাচির লিয়ারি এলাকায় শুক্রবার একটি পাঁচতলা ভবন ধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শহীদ মোতরমা বেনজির ভুট্টো ইনস্টিটিউট অব ট্রমা (এসএমবিবিআইটি)।

স্থানীয় গণমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচি সিভিল হাসপাতাল ৯টি মরদেহ গ্রহণ করেছে এবং হাসপাতালে ভর্তি একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশের সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসএমবিবিআইটির নির্বাহী পরিচালক ডা. সাবির মেমন জানান, আহতদের মধ্যে কেউ গুরুতর অবস্থায় নেই।

এর কয়েকদিন আগে করাচির খারাদার এলাকায় আরেকটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। গত ডিসেম্বরে সিন্ধু বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি করাচির ৫৭০টিরও বেশি ‘বিপজ্জনক’ ভবন খালি করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, দুর্বল তদারকি, অবৈধ সম্প্রসারণ ও ভবন বিধিমালা প্রয়োগে শিথিলতার কারণে প্রায় দুই কোটির বেশি জনসংখ্যার করাচিতে এমন দুর্ঘটনা বাড়ছে।

আগে বিচার তারপর নির্বাচন নাহিদ ইসলাম

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃ’ত্যু ১০ আ’হত ৯

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ যারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার একদিন অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, ‘আগে বিচার, সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বগুড়া শহরের পর্যটন মোটেলের সভাকক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘এই শহীদ পরিবারগুলোকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে হবে। শুধু বর্তমান সরকার নয়, যে কোনো সরকারকেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্যই আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলছি। এই ঘোষণাপত্রে শহীদ ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার বিষয়গুলোও থাকবে।’

তিনি জানান, এসব দাবি নিয়ে সারা দেশে পদযাত্রা করছে এনসিপি। শহীদ পরিবারের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা হয়তো আপনাদের প্রতি দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের সম্পর্ক আজীবনের।’ এ সময় এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

দেশীয় ফ্রিজ ও এসি শিল্পে শুল্ক ছাড়: বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে শঙ্কা

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃ’ত্যু ১০ আ’হত ৯

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শিল্পবান্ধব নীতি ও কর সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প, বিশেষ করে ফ্রিজ, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদন খাত, উৎপাদনমুখী পর্যায়ে এগিয়ে গেছে। দেশীয় উদ্যোক্তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও কারখানা স্থাপন করে খুচরা যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেশেই তৈরি করছেন।

তবে সম্প্রতি এনবিআর একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে উৎপাদিত কিছু উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এতে উদ্যোক্তাদের দাবি, দেশীয় শিল্পের টেকসই বিকাশের পথে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। এতে বিদ্যমান বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং উৎপাদনের আড়ালে আমদানিনির্ভর সংযোজন শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, যেসব যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে দেশেই তৈরি হচ্ছে, সেগুলো আমদানির সুযোগ থাকলে উদ্যোক্তাদের কাছে উৎপাদনের চেয়ে আমদানি লাভজনক হয়ে উঠবে। এতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ পড়বে।

তারা দাবি তুলেছেন, দেশে উৎপাদিত যেসব খুচরা যন্ত্রাংশ ও উপকরণ এরই মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে, সেগুলোর আমদানিতে শুল্ক ছাড় বাতিল করে পূর্বের মতো সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হোক। এতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা পাবে এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত হবে বলে মত দিয়েছেন শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা।

আর্থিক নিয়ম ভাঙায় বার্সেলোনা-চেলসিসহ চার ক্লাবকে উয়েফার রেকর্ড জরিমানা

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃ’ত্যু ১০ আ’হত ৯

ইউরোপের শীর্ষ চারটি ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে কড়া জরিমানা করেছে উয়েফা। শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা ও ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁওকে জরিমানার ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ইএসপিএনের তথ্য অনুযায়ী, ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরিমানা হয়েছে চেলসির—৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার)। ইউরোপে কোনো ক্লাবকে এক মৌসুমে এর চেয়ে বড় আর্থিক জরিমানা আগে আর করা হয়নি। আর্থিক নিয়ম মেনে ব্যয় না করায় ও আয়ের বড় অংশ স্কোয়াড খরচে ব্যয় করায় এই জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের।

অর্থ সংকটে থাকা বার্সেলোনার জরিমানার অঙ্ক ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার)। এর আগে ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য ভুল উপস্থাপন করায় বার্সাকে আরও ৫ লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল।

অন্যদিকে ইউরোপের কনফারেন্স লিগে বাজেটের সীমা অতিক্রম করায় অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো ও অলিম্পিক লিঁওকে ১২.৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। লিঁও যদি ভবিষ্যতের আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তারা ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে বলে জানিয়েছে উয়েফা।

উয়েফা বলেছে, ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোকে টেকসই আর্থিক কাঠামো বজায় রাখতে হবে—তাই এই কড়া ব্যবস্থা।

×