| ৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

শেখ হাসিনার শাসনের গু’ম-খু’ন-এর বিচার আর সীমান্ত আন্দোলনের ঘোষণা

শেখ হাসিনার শাসনের গু’ম-খু’ন-এর বিচার আর সীমান্ত আন্দোলনের ঘোষণা

নাহিদ ইসলাম : ছবি-সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছেন, গুম-খুনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন—এ অভিযোগ তুলে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তার না করে বরং পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এসব অপচেষ্টা গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী হিসেবে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এই দল (এনসিপি) গঠনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ আর দেশের মানুষের আহ্বানেই আমাদের এই দল গঠন করতে হয়েছে।’

তরুণদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা আমাদের সহায়তা করুন। দেশের তরুণেরা নতুন স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ ও লালমনিরহাটকে এগিয়ে নিতে চায়। সেই লড়াইয়ে আমরা একসঙ্গে থাকব।’

লালমনিরহাটের পথসভায় নাহিদ ইসলাম দেশের নদী ও সীমান্ত সুরক্ষার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ভারত অন্যায্যভাবে আমাদের নদীর পানির হিস্যা দেয় না। এনসিপির নেতৃত্বে নদী ও সীমান্ত সুরক্ষার আন্দোলন শিগগিরই শুরু হবে। এ অঞ্চলের মানুষের নদীর অধিকার আর সীমান্তে বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করেই ছাড়ব।’

এ সময় পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বক্তব্য দেন দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

পথসভায় অংশ নেওয়ার আগে দুপুরে কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়া ও রাজারহাটে পথসভায়ও বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম। সেখানে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গায়ে অন্যায়ভাবে কেউ হাত তুললে তার পরিণতি ভালো হবে না। জনগণের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে, চাঁদাবাজ-দখলদারদের পক্ষে দাঁড়ালে বারবার গণ-অভ্যুত্থান হবে।’

দেব-রুক্মিণীকে ঘিরে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন দেব বলিউডের দিকেই নজর!

শেখ হাসিনার শাসনের গু’ম-খু’ন-এর বিচার আর সীমান্ত আন্দোলনের ঘোষণা

টলিউডের জনপ্রিয় জুটি দেব ও রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জনের শেষ নেই। সম্প্রতি নিন্দুকরা দাবি তুলেছিলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের সম্পর্ক নাকি ভাঙনের পথে! তবে এই গুঞ্জনে জল ঢেলে সুপারস্টার দেব স্পষ্ট জানালেন, সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে কোনও কৈফিয়ত দিতে হবে না।

দেব বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে সম্পর্কে আছি, কখনও তা নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করিনি। এখন কেন উত্তর দিতে হবে? কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না!’

তবে এখানেই থেমে থাকেননি দেব। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এবার রুক্মিণীর সঙ্গে মুম্বাইতেই নিজের ঠিকানা খুঁজছেন তিনি। মুম্বাইয়ে বাড়ি কেনার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন এই অভিনেতা।

দেবের ভাষায়, ‘মুম্বাই থেকে প্রচুর কাজের অফার আসছে। মাসে অন্তত ১০ দিন ওখানে থাকতে হয়। সিনেমার ডাবিং, কালার কারেকশন, মিউজিক রাইটস—সবই এখন মুম্বাই কেন্দ্রীক। হোটেলে থাকতে খরচ বেশি, তাই নিজের ফ্ল্যাট কিনতে চাই।’

এদিকে প্রেমিকা রুক্মিণীও নাকি অনেক দিন ধরেই মুম্বাইয়ে শিফট করতে চাইছেন। দেব বলেন, ‘রুক্মিণী জাতীয় স্তরের অভিনেত্রী, ওর মুম্বাইতে কাজ করা উচিত। একা সাহস পাচ্ছিল না, তাই এবার আমি-ও পাশে থাকছি।’

প্রসঙ্গত, টলিউডের টোটা রায়চৌধুরি, যিশু সেনগুপ্ত বা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দেবও এবার বলিউডের দিকেই পা বাড়াচ্ছেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সব মিলিয়ে দেব-রুক্মিণী জুটিকে ঘিরে ভক্তদের প্রত্যাশা এবার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

টেলিকম নীতি দ্রুত চূড়ান্তে আপত্তি বিএনপির

শেখ হাসিনার শাসনের গু’ম-খু’ন-এর বিচার আর সীমান্ত আন্দোলনের ঘোষণা

টেলিকম নীতি দ্রুত চূড়ান্তে আপত্তি বিএনপির

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রণীত ‘ড্রাফট টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই নীতি নিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত দেশি ছোট উদ্যোক্তা ও টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক উন্নয়নে বাধা দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দলের অবস্থান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সিং পদ্ধতি সহজ করা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উৎসাহিত করা এবং গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু খসড়া নীতিমালায় এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যা ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’

মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা যেন একতরফাভাবে চূড়ান্ত না করা হয়। এই নীতি বাস্তবায়নের আগে আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হবে এবং SME, বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা সংগঠনসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একাধিক সেবা খাতে মালিকানা নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে বড় মোবাইল অপারেটররা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এতে বাজারে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে পড়বে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারিয়ে এবার সংস্কৃতি মন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

শেখ হাসিনার শাসনের গু’ম-খু’ন-এর বিচার আর সীমান্ত আন্দোলনের ঘোষণা

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর নতুন দায়িত্ব নিলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। দেশটির নতুন মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে নতুন মন্ত্রিসভার ১৪ জন সদস্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন পেতংতার্ন।

থাই সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৭ মিনিটে শপথ অনুষ্ঠানে পৌঁছান পেতংতার্ন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানালেও মাত্র দুই দিন আগেই ক্রিমিনাল কোর্টের আদেশে তাকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শপথগ্রহণ শেষে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা আরটি-পিসিআর টেস্ট সম্পন্ন করে সরকারি পরিচয়পত্র ও নথিপত্রের জন্য আনুষ্ঠানিক ছবি তোলেন। এরপর এক বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারা নতুন দায়িত্ব বুঝে নেন।

এবারের মন্ত্রিসভায় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত। সরকারের একাংশ ভুমজাথাই পার্টি জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন এবং ছোট দলগুলোর সমর্থন নিশ্চিত করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন জোট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে পেতংতার্নের বিতর্কিত ফোনালাপ এবং সীমান্ত ইস্যুতে কথা বলার ঘটনা নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তার বাবার মতো (সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা) তিনিও রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন।

পেতংতার্নের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিতে ১ জুলাই থেকে ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছে আদালত। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের বাজেটসহ গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

×