‘জুলাই অভ্যুত্থান’ স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘স্বৈরাচার পতনে যেন আর ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়— সেই কাজই আমরা করছি। প্রতি বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থান পালন করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হতে চাইলে জনগণ সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটাতে পারে। কারণ, জনগণ রাস্তায় নামলে কোনো শক্তি থামাতে পারে না।’
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে’ মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গত ২৪ জুন পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন’ কর্মসূচির বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচি আজ ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আজ প্রথম দিন দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আজই ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু হয়েছে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। এদিন জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তিও চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানগুলো প্রতিদিন নয়, বিরতি দিয়ে পর্যায়ক্রমে আয়োজন করা হবে। যেমন ১ জুলাইয়ের পর পরবর্তী অনুষ্ঠান হবে ৫ জুলাই, এরপর ৭ জুলাই ও ১৪ জুলাই।
সবচেয়ে বড় আয়োজন হবে ৫ আগস্ট (যা কর্মসূচির ভাষায় ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে উল্লেখ)। ওই দিন ৩৬ জেলার কেন্দ্রে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, গানের অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেস অব জুলাই’সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও ড্রোন শো আয়োজনের কথা রয়েছে।