বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত অভিনেতা আমির খানের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’ বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছে। গত ২০ জুন মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি এরই মধ্যে ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।

‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি সুজা। এস প্রসন্ন পরিচালিত এ সিনেমাটি সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের কাছ থেকেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ইতিমধ্যে সিনেমাটি বক্স অফিসে ১০৮.৩০ কোটি রুপি আয় করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনেই সিনেমাটি ১০.৭ কোটি রুপি আয় করেছিল। নবম দিনে সেটি বেড়ে ১২.৭৫ কোটি রুপিতে পৌঁছায়।

সম্পূর্ণ বিনোদনধর্মী ও আবেগঘন গল্পের কারণে দর্শকরা সিনেমাটি বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। বক্স অফিসে এটি কাজলের ‘মা’ ও ‘কান্নাপ্পা’ সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে, যেগুলো ২৭ জুন মুক্তি পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ‘সিতারে জমিন পার’ এর আয় আরও বৃদ্ধি পাবে এবং শিগগিরই এটি বছরের অন্যতম বড় হিটে পরিণত হবে।

ঢালিউডের নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকলেও বেশ কয়েকবারই সিনেমায় ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। অবশেষে গেল বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি বহু বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

মে মাসেই সিনেমাটির অর্ধেকের বেশি শুটিং শেষ করে আবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিরে যান শাবনূর। এরপর দীর্ঘ ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সিনেমার বাকি অংশের শুটিং আর শুরু হয়নি। চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে শুটিং শুরুর কথা থাকলেও দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং সম্মানীর জটিলতায় তা আর সম্ভব হয়নি।

এ নিয়ে গুঞ্জন উঠে, শাবনূর হয়তো ‘রঙ্গনা’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমাটি তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সিনেমার পরিচালক আরাফাত জানান, ‘‘কিছু মানুষ বলার চেষ্টা করছেন ‘রঙ্গনা’র শুটিং আর হচ্ছে না, যা একেবারেই ভিত্তিহীন। শাবনূর আপার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে শুটিং আবার শুরু হবে।’’

তবে শাবনূর কবে দেশে ফিরছেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি। ভক্তরা আশা করছেন, শাবনূরের বহুল আলোচিত ‘রঙ্গনা’ শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।

ভারতের তেলেঙ্গানায় একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার সকালে সাঙ্গারেড্ডি জেলার একটি শিল্পতালুক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পড়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিস্ফোরণের সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক কারখানার ভেতরে আটকে পড়েছিলেন। এখনো অনেকের খোঁজ না মেলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কারখানাটি মূলত ওষুধ তৈরির কাঁচামাল উৎপাদন করত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের তদারকি করছেন সাঙ্গারেড্ডির পুলিশ সুপার পি প্রবীণ্যা এবং জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) পরিতোষ পঙ্কজ। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।