| ২৩ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা একযোগে বৈঠক করেছেন। রোববার (২১ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর সম্মেলন কক্ষে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিমুলিয়া ঘাটে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক পোর্ট নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা।

 

বৈঠক শেষে উপদেষ্টারা সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা সেতুর সংযোগস্থলে অবস্থিত শিমুলিয়া ঘাটে একটি পূর্ণাঙ্গ পোর্ট নির্মাণ হলে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে বিপ্লব ঘটবে। এই প্রকল্প দেশের নৌ-পরিবহন খাতের পাশাপাশি শিল্প, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—

 

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

 

নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

 

শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

 

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. শেখ বশিরউদ্দিন

 

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—

বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল করিম মল্লিক, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান এবং লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন প্রমুখ।

 

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিমুলিয়া ঘাট শুধু নদীপথ নয়, সারাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শ্যামনগর আটুলিয়ায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার(২২ জুন) আটুলিয়া ইউপির নওয়াবেঁকী বাজারে বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন নওয়াবেঁকী বাজারে রাত ১০টার পর কেরাম খেলা চলবে না। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে অনলাইন জুয়াড়ীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।

আটুলিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কমিটির আয়োজনে নওয়াবেঁকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিসে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর মোল্যা।

আটুলিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশ বিপ্লব হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, নওয়াবেঁকী কাদেরিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ওহিদুজ্জামান, আটুলিয়া ইউপি জামায়াতের আমির মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, বিড়ালক্ষ্মী মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল কবীর, নওয়াবেঁকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ইউপি সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্টান প্রধানগণ প্রমুখ।

উত্তরায় জনতার হাতে আটক সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, পরে পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা — ফাইল ছবি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় জনতা তাকে ঘেরাও করে, পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,

“স্থানীয়রা উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে তাকে ঘিরে ফেলেন। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।”

তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ডিসি মহিবুল বলেন,

“তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার বলা যায়।”

এ কে এম নুরুল হুদা ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছিল।

এই ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং মামলার প্রকৃতি এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও আসেনি।

নীরব ভূমিকায় উপজেলা প্রশাসন?

টেকনাফে খালের জমি ভরাট করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ

শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ উপদেষ্টার বৈঠক, আসছে ৭৫০ কোটি টাকার আধুনিক পোর্ট প্রকল্প

টেকনাফ পৌর শহরে খালের জমি ভরাট করে নির্মাণাধীন স্থাপনা—নীরব ভূমিকায় উপজেলা প্রশাসন

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর শহরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা তিন ভাগে বিভক্ত নাফ নদীর সাথে লাগোয়া খালগুলো দিনের পর দিন নালায় পরিণত হচ্ছে। এক সময় এই খালগুলোতে মাছ আহরণ করে অনেক হতদরিদ্র মানুষের সংসার চলত। সময়ের ব্যবধানে আজ এসব খালের জমি পাহাড়ি পানির ঢলের সাথে মাটি এসে ও কিছু অসাধু মানুষের দ্বারা ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হওয়ার পথে সাধারণ মানুষের আয়ের উৎস। এমনকি বর্ষাকালে ভারী বর্ষণে পাহাড়ি পানির ঢল খাল থেকে নদীতে নামতে না পেরে বন্যার আশঙ্কা ও দেখা দিচ্ছে।

এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই খালের জমিগুলো ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে। তবে এত এত স্থাপনা নির্মাণ হয়ে খালের জমিগুলো নালায় পরিণত হলেও নজর পড়েনি স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের। ফলে বর্ষা মৌসুম আসলেই এই খালের জমির পাশে বসবাসরত মানুষের দুর্ভোগ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এছাড়া বন্যার ভয়ে দিন কাটছে খালের আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় মানুষদের।

এসব বিষয়ে স্থানীয় সচেতন নাগরিক রফিকুল ইসলামের কাজ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্রীস্মের পর যখন বর্ষাকালে পাহাড় থেকে পানির ঢল নামে তখন পানির সাথে আসা মাটি খালগুলোতে নামে। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে অযত্নে অবহেলায় এই খালগুলো পড়ে থাকায় মাটি এসে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পানিগুলো নদীতে নামতে না পেরে আশেপাশে বিভিন্ন মানুষের বসতবাড়িতে ঢুকে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমনকি আরো দেখা গেছে কিছু কিছু মানুষ খালের জমি দখল করে বিভিন্ন রকমের দালান কোঠাসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করেছে। তাছাড়া হাট-বাজারসহ বিভিন্ন মানুষের ঘর-বাড়ির ময়লা আবর্জনা খালে ফেলেও খালগুলো ভরাট করে রেখেছে। ফলে বৃষ্টির দিনে বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে না পেরে আশেপাশের বসবাসরত মানুষের বসত ভিটায় বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে যদি সরকার কয়েক বছর পর পর এসব খালগুলো খনন করে বা পরিষ্কার করে তাহলে স্থানীয়দের এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হত না। পাশাপাশি এসব অসাধু ব্যক্তিরাও খালের জমি দখল করার দুঃসাহস করতেন না।

খালের জমি ভরাট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অসাধু ব্যক্তিদের দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বিশেষ করে খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে খাল খনন করছে। তবে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে যদি খুবই জরুরি মনে হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর একটা চিঠি দিতে পারি। যদি স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়ে পরিষ্কার করা যায় তাহলে আমি এর আগেও বিভিন্ন উপজেলাতে খাল পরিষ্কার করেছি। আর টেকনাফে প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন খালগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিবে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনাফ পিওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন বা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবরে লিখিত কোনো আবেদন পেলে পরবর্তীতে খালের জায়গাগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করে যে জায়গায় খাল খনন করা বা পরিষ্কার করা দরকার হয়। মন্ত্রণালয় বারবার জানিয়ে একটা প্রকল্প হাতে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

×