| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল মান্নান রসুল ও বারের সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের সদস্য পদ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।সদস্য পদ বাতিলকৃত ১৬ জন সদস্যকে আলাদা আলাদা চিঠি দেওয়া হয়।

বাতিলের বিষয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আপনার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।তবে কী কারণে বা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী তাদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
পদ বাতিল হওয়া আইনজীবী সদস্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল মান্নান রসুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ও তার ছেলে আইনজীবী মো. মোর্শেদ কামাল তালুকদার, সাবেক সরকারি কৌশলী (জিপি) তপন কুমার রায় চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এডিশনাল (পিপি) এম আলম খান কামাল।ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এডিশনাল (পিপি) আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো: মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব সাবেক নলছিটি উপজেলা চেয়ারম্যান জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো:জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো: আবুল বাশার ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

জেলা আইনজীবী সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আক্কাস সিকদার বলেন, শুধু আওয়ামীপন্থী ১৬ জন নয়, আরো বিভিন্ন দলের সমর্থক এবং অনিয়মিত ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী সদস্য ও ঝালকাঠি জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খান বলেন, চিঠিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য পদ বাতিল করার বিষয়টি যে উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আমরা কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য পদ বাতিলের বিষয়টি সাধারণ সভায় উপস্থাপন করার জন্য মতামত দিয়েছিলাম। ১৬ জন সদস্যের বাতিলের বিষয়টি সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়নি।

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, ‘আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লিখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ৫ আগস্ট এর পরে যারা আদালতে প্র্যাকটিস করে না, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ভণ্ডুল করেছে, সিনিয়র আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করেছে এসব বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এই ১৬ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।’

সদস্যপদ বাতিল হওয়া কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, আমাদের আইনজীবী সমিতি সদস্য পদ অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আরেক আইনজীবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন রিজভী বলেন, ‘আমি উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। সদস্য পদ বাতিলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই জানা নেই। যদি আমার সদস্য পদ বাতিল করা হয়, সেটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে করা হয়েছে।

আলোচিত ১৬ জনের সদস্য বাতিল হওয়ার পরপরই এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ আমলে আইনজীবী সমিতিও বিভিন্ন আইন কর্মকর্তাদের নাম এ তালিকায় না থাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে, বিএনপির আইনজীবীদের সাথে সখ্যতা থাকায় অনেক আওয়ামী পন্থী আইনজীবীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। যারা বিএনপির অনেক সিনিয়র আইনজীবীকে হেনস্তা করেছেন তারাও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এমন প্রশ্ন বিএনপির সমর্থকদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপিপন্থী বর্তমান আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা।

পান্থ হত্যা মামলা মেনন ইনু ও পলককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সকালেই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় মেনন, ইনু এবং পলক—এই তিনজনই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ইনু জানান, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, ফলে কিছু সময় থেমে যান তারা। পরে আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় উঠে কাঠগড়ায় দাঁড়ান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করেন।

এরপর পুলিশের প্রহরায় তাদের পঞ্চম তলার লিফট হয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।

 মামলার পটভূমি: ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার কদমতলী এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাহাদীর মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে রাশেদ খান মেনন (৭ নম্বর), ইনু (৮ নম্বর), ও পলক (৯ নম্বর) হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি।

চাঁ’দা’বা’জি’র দায় স্বীকার আমি গরিবের ছেলে টাকার লোভ সামলাতে পারিনি জবানবন্দিতে রিয়াদ

ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ঢাকার গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড শেষে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন,

“আমি গরিবের ছেলে। টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।”

এর আগে, ২৬ জুলাই গুলশানের নিজ বাসায় সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ: জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, তিনি ও তার সহকর্মীরা ১৭ জুলাই রাতে গুলশান থানার ডিসিকে ফোন করে শাম্মীর অবস্থান জানান। পরে পুলিশের অনুমতি পেয়ে তারা ফজরের আযানের পর অভিযান চালান। শাম্মী বাসায় না থাকলেও অভিযানে অংশ নেওয়া জানে আলম অপু তার বাসা থেকে একটি এয়ারপড নিয়ে আসেন, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়।

তবে পরবর্তীতে সকালে আবারও গিয়ে তারা শাম্মীর স্বামী আবু জাফরের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না থাকায় তিনি ১০ লাখ টাকা দেন, যা রিয়াদ ও অপু ভাগ করে নেন।

পরে বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায়ে ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সিয়াম, সাদমানসহ আরও তিনজনকে ওই বাসায় পাঠানো হয়। পুলিশের পরামর্শে রিয়াদ নিজেও সেখানে যান। তখনই পুলিশ হাতেনাতে টাকাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।

 আদালত নির্দেশনা ও আটক: রোববার চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাকিদের—মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব—কারাগারে পাঠানো হয় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদেশে। অভিযুক্ত সকলকে তাদের সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

পরিবর্তনের চেতনা বিলুপ্তির পথে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চলছে মোস্তফা ফিরোজের মন্তব্য

ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

মোস্তফা ফিরোজ : ছবি-সংগৃহীত

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের যে চেতনা বিগত এক বছরে গড়ে উঠেছিল, তা আজ বিলুপ্তির পথে—এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,

“দেশে এখন কোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। একদল মনে করছে—পরিবর্তন তো ঘটিয়েছি, এখন যা ইচ্ছা তাই করবো।”

তিনি আরও বলেন,

“প্রতিশোধ, বলপ্রয়োগ, প্রতিহিংসা—এসবের মধ্য দিয়ে সমাজে এক ভয়াবহ আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।”

মোস্তফা ফিরোজের ভাষ্য অনুযায়ী,
গত এক বছরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সবচেয়ে চোখে পড়েছে হিংসা ও ভিন্নমতের উপর নির্যাতনের প্রবণতা।

“ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতভেদের কারণে মানুষ আজ সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হচ্ছে। এটি ‘মব কালচারে’র একটি স্পষ্ট প্রতিফলন,” — বলেন তিনি।

গণমাধ্যম ও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ মোস্তফা ফিরোজ আরও অভিযোগ করেন, “আজকের গণমাধ্যমগুলো মবের ভয়ে ভিন্নমতের মানুষকে স্টুডিওতে আনতে পারে না। টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলোকেও প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন,

“গুলশান, বনানী, বাড়িধারা—এই অভিজাত এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে চাঁদাবাজি চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ এলাকাতেও চুরি, ডাকাতি বেড়েছে।”

তারেক রহমানের শান্তির বার্তা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিহিংসাহীন রাজনীতির বার্তা নিয়েও কথা বলেন ফিরোজ।
তিনি বলেন,

“তারেক রহমানের বক্তব্য—‘প্রতিহিংসা নয়, শান্তির বার্তা’—একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের জন্য এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।”

×