
যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েও সেই সুযোগ পাচ্ছেন না ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ইউনূসের কাছে টিউলিপের পাঠানো কোনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি।
শফিকুল আলম বলেন, পাঁচ জুন থেকে আমরা ছুটিতে আছি। এই সময়ে টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চিঠি বা যোগাযোগ পাইনি। ফলে ড. ইউনূসের সফরে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক এই সাক্ষাতের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলমান ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে চেয়েছিলেন। তিনি চিঠিতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার ইচ্ছার কথা জানান।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার মা শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি মূল্যবান প্লট দখলের অভিযোগ এনেছে। বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাত হাজার দুইশো বর্গফুট জমি তারা নিজেদের নামে নিয়েছেন। তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা বলছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন।
টিউলিপ বলেন, বাংলাদেশ সরকার থেকে কেউ আমার সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক। জন্ম ও বেড়ে ওঠা লন্ডনে। আমার কোনো ব্যবসা বা সম্পত্তি বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে আছে, তবে এটি আমার দেশ নয়।
চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনি চান সম্ভাব্য বৈঠকটি ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের তৈরি ভুল বোঝাবুঝি দূর করুক। পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনার ভাগনি হিসেবে নয়, একজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছেন।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি নিছক একটি যোগাযোগ বিভ্রাট নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে কৌশলগত রাজনৈতিক বার্তা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটি কি ভবিষ্যতের সম্পর্কের পথে নতুন বাধা, নাকি শুধুই উপেক্ষা।