| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

অবশেষে নিশ্চিত: লন্ডনে তারেক-ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক শুক্রবার

অবশেষে নিশ্চিত: লন্ডনে তারেক-ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক শুক্রবার

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে যে, লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে।

আগামী শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একটি অভিজাত হোটেলে উচ্চ-ভোল্টেজ এই কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎ ঘটবে।
জানা গেছে, আনুষ্ঠানিক আলোচনার পাশাপাশি দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে খানিকক্ষণ একান্তেও কথা বলার শিডিউল ঠিক করা হয়েছে।

ড. ইউনূসের লন্ডন সফর: রাজকীয় সম্মাননা ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময় ভোরে) ফ্লাইটটি লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সফরকালে ড. ইউনূস বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন এবং রাজার হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। ড. ইউনূসের সম্মানে একটি রাজকীয় ভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ব্রিটেনের রাজনীতি ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।

এছাড়াও, পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির পীঠস্থান ব্রিটেনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদধারী স্পিকার এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। তার সঙ্গে দেখা হবে দেশটির একাধিক মন্ত্রীর। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা ব্রিটেনের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে বক্তৃতা করবেন।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই উচ্চ-প্রোফাইল সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ব্রিটেনের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। একইসাথে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত নিয়েও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে। সফর শেষে আগামী শনিবার (১৪ই জুন) সরকার প্রধানের ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।

কলকাতায় গোপন ‘দলীয় অফিস’ খুলেছে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা

অবশেষে নিশ্চিত: লন্ডনে তারেক-ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক শুক্রবার

বাংলাদেশে সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে দেশ ছেড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। তাঁদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। তবে শুধু আত্মগোপনেই থেমে থাকেননি তাঁরা—নীরবে গড়ে তুলেছেন একটি ‘দলীয় অফিস’। চলছে বৈঠক, সাংগঠনিক পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের কাজ।

 

বিবিসি বাংলার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার এক বাণিজ্যিক ভবনের আটতলায় এমন একটি অফিস চালু করা হয়েছে, যেখানে বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। নেই কোনো সাইনবোর্ড, পতাকা বা দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার ছবিও।

 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পরই দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপর থেকেই ভারতে পাড়ি জমান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী। শুরুতে ব্যক্তিগত বাসাবাড়িতে বৈঠক হলেও, বড় ধরনের মিটিংয়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বা হল ভাড়া করতে হতো। সেই প্রয়োজন থেকেই তৈরি হয় স্থায়ী ‘অস্থায়ী’ দলীয় কার্যালয়ের পরিকল্পনা।

 

কারা যান এই অফিসে?

প্রতিদিন না হলেও, প্রয়োজনে যাতায়াত করেন ৩০-৩৫ জনের মতো নেতা। কেউ কেউ সপরিবারে আছেন, কেউ বা কয়েকজন মিলে একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন। সূত্র জানায়, অন্তত ৭০ জন সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ প্রায় ২০০ জন শীর্ষ নেতা কলকাতা ও আশপাশে বাস করছেন।

 

অফিসটিকে বাইরে থেকে সাধারণ ব্যবসায়িক অফিস বলেই মনে হয়। আগের সংস্থার ফার্নিচার ব্যবহার করা হয়; কোনোরকম চিহ্ন রাখা হয়নি ইচ্ছাকৃতভাবেই। আওয়ামী লীগের এক পলাতক নেতা বিবিসিকে বলেন, “আমরা চেয়েছি, কেউ বুঝতে না পারে এটি আমাদের কার্যালয়। এটি মূলত কৌশলগত নিরাপত্তার অংশ।”

 

ভারতে রাজনৈতিক কার্যক্রম কিভাবে চলছে?

প্রশ্ন উঠছে, একটি বিদেশি রাজনৈতিক দল ভারতের ভেতরে কীভাবে এমন কার্যক্রম চালায়? দলটির সূত্র বলছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মৌন অনুমোদনেই সবকিছু চলছে। যদিও সরকারিভাবে ভারত এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

 

এই গোপন ‘কেন্দ্র’ এখন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের কৌশলগত সমন্বয়স্থল হয়ে উঠেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, পরিস্থিতি বদলালে তাঁরা আবারও দেশে ফিরে সংগঠন পুনর্গঠন করবেন।

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

অবশেষে নিশ্চিত: লন্ডনে তারেক-ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক শুক্রবার

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

অবশেষে নিশ্চিত: লন্ডনে তারেক-ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক শুক্রবার

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

×