| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সমতল মাটির পরিবেশ তৈরি না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়” — কুলাউড়ায় জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

সমতল মাটির পরিবেশ তৈরি না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়” — কুলাউড়ায় জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, এই জাতি আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। জনগণ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আজ মুখিয়ে আছে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য এখনই রাজনৈতিক সংস্কার, নিরপেক্ষ বিচার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং ভোটের জন্য সমতল মাটির পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (৭ জুন) সকালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের নামাজ শেষে তিনি স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নেন।

শফিকুর রহমান বলেন,

পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। নতুন প্রজন্মের ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, তবেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

 

তিনি আরও বলেন,

আমরা চাই, একটি রোডম্যাপ অনুযায়ী এমন একটি নির্বাচন, যেখানে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত থাকবে, জনগণের আস্থা থাকবে এবং ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

 

এই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌরসভার আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নেতারা এক বাক্যে বলেন,

জনগণের আস্থা ফিরে পেতে হলে, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। এখন সময় এসেছে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার, যেখানে কারও উপর জুলুম-নির্যাতন থাকবে না, থাকবে না কোনো দলের একচ্ছত্র আধিপত্য।

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

সমতল মাটির পরিবেশ তৈরি না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়” — কুলাউড়ায় জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

সমতল মাটির পরিবেশ তৈরি না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়” — কুলাউড়ায় জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: নির্বাচন কমিশনার

সমতল মাটির পরিবেশ তৈরি না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়” — কুলাউড়ায় জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাদের জন্য ভোট গ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ, শুধু এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হতে পারে ৬-৭ কোটি টাকা।

ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সানাউল্লাহ জানান, এই ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে। এতে সময় বাঁচবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

×