সোমবার, ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেঁচে ফেরা কুয়াকাটা কৃতি সন্তান সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে সংবর্ধনা, সাম্প্রদায়িক একতা ও সাহসিকতার উদাহরণ

মোঃ তরিকুল ইসলাম মোল্লা, কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ

সাংবাদিক পুনরুদ্ধার

ছবি-সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে ফিরে কুয়াকাটায় গণসংবর্ধনায় উপস্থিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার কৃতি সন্তান ও বাংলাভিশনের সংবাদকর্মী জহিরুল ইসলাম মিরন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ ১২০ দিনের যুদ্ধ শেষে জীবন ফিরে পেয়েছেন। ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুয়াকাটার নিজ বাসার সামনে একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত হওয়া এই বরেণ্য সাংবাদিক মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। বুধবার (৪ জুন) বিকেলে তিনি কুয়াকাটার নিজ জন্মভূমিতে ফিরে এসে এলাকাবাসীর অগণিত ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন।

স্থানীয় পর্যটন হলিডে (হোম) কমপ্লেক্স মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, কুয়াকাটা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা ও যুবসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত জনতার মধ্যে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি ও পটুয়াখালী জেলা যুবদলের উচ্চপদস্থ নেতারা ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া ও কুয়াকাটা উপজেলার বিএনপি ও যুবদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক মিরনকে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে স্থানীয় কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা গুরুতর অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসকরা অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর দীর্ঘ ১২০ দিন চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে তিনি আশার আলো হয়ে ফিরে আসেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতরা সাংবাদিক মিরনের ফিরে আসাকে “অলৌকিক” ও “আল্লাহর বিশেষ দয়া” হিসেবে অভিহিত করেন। তার সাহসিকতা, ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, তার প্রত্যাবর্তন আমাদের এলাকায় শান্তি ও ঐক্যের এক নতুন বার্তা বহন করে।

আরও পড়ুন  কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা, ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্দেশ

সাংবাদিক মিরনের সংবর্ধনায় অংশগ্রহণকারীরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবনের জন্য সকলের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানান এবং বলেন, সাংবাদিকতার মত পবিত্র পেশায় তার সাহসিকতা নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

[print_link]

WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram