| ১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা, নির্বাচন সংস্কার এবং কাঠামোগত পুনর্গঠনের ভিত্তিতেই টেকসই হতে পারে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ আজ সময়ের সবচেয়ে জরুরি দাবি। এই সনদ শুধু রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নয়, বরং শহিদদের প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীতে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এনসিপি আহ্বায়ক এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে দেশের নির্বাচনপদ্ধতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আগ্রহের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে সনদে রূপ দেওয়ার আহ্বান

নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই আন্দোলনের যারা রাস্তায় নেমে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে ‘জুলাই সনদ’ সময়ের দাবি। এই সনদ নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, এবং সব দলের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি বাস্তব রোডম্যাপ।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। যে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের গতিপথ নির্ধারণ করে দেবে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টি সরকারের পদক্ষেপ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”

‘জুলাই সনদ’ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান

নাহিদ ইসলাম দৃঢ়ভাবে বলেন, “জুলাই সনদের প্রণয়ন ও ঘোষণা যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন হওয়া উচিত। এতে করে শুধু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া গতিশীল হবে না, বরং শহিদদের আত্মত্যাগকেও যথার্থ মর্যাদা দেওয়া যাবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সনদ হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিপ্রস্তর।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ এবং এনসিপির অবস্থান

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক যাত্রা এবং নীতিগত সংস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যে আগ্রহ রয়েছে, তা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা চাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলক সহযোগিতা করুক, যেন বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে ওঠে।”

এনসিপি আহ্বায়ক দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমরা চাই একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠুক, যেখানে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছাই হবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভিত্তি।”

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

×