| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য” হিসেবে অভিহিত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন, সরকার এই বাজেট সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “অনেকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটকে গতানুগতিক বলছেন। তবে বাস্তবে সামাজিক খাতে, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে, বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া।”

তিনি জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকাংশই আগের সরকারের চলমান প্রকল্প। নতুনভাবে ২০ থেকে ৩০টি প্রকল্প যুক্ত করা হলেও, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়া হচ্ছে। “মাঝপথে কোনো প্রকল্প বাদ দেওয়া হবে না। তবে আমরা নতুন মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করবো না,”— বলেন তিনি।

তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “খুলনা-মোংলা রেললাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং গ্রামীণ সড়ক পুনর্গঠন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো দ্রুত নষ্ট হচ্ছে এবং তা পুনর্নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে।”

এছাড়া, প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও জঞ্জাল পরিষ্কার করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তারেক রহমানই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

৯ আগস্ট ২০২৫ – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর জাতীয় কাউন্সিলে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেছেন, তারেক রহমানই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। তার এসব কথা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

বক্তব্যের শুরুতে মির্জা ফখরুল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বিদ্যমান পারস্পরিক হিংসার ‘কালচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের এই কালচার থেকে বেরিয়ে এসে সংলাপ ও ঐক্যের পথ ধরতে হবে।

সরকারের নানান নীতির সমালোচনা করে তিনি বিশেষ করে ওষুধ শিল্প নীতি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের মৌলিক সব অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

এছাড়া গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি বিশেষ আহ্বান জানান। তার ভাষ্য, আন্দোলনে আহত মানুষের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এসব আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি একাধিকবার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের সুরক্ষা আমাদের অঙ্গীকার।

দুমকিতে পুলিশের অভিযানে ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লেবুখালী পায়রা সেতু টোল প্লাজার চেকপোস্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই নুরুজ্জামান ও এএসআই দুলাল, সঙ্গীয় ফোর্সসহ।

গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (২৪)। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা লাইট হাউস এলাকার খুকু হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার পিয়ারপুর মৌকরনে বসবাস করছিলেন।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে জিয়ার কাছ থেকে মোট ৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুমকি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (মামলা নং–৩, তারিখ: ৯ আগস্ট ২০২৫) দায়ের করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর: চালু হলো মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ২০২৫-২৬ বাজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়া সরকার অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (MEV) চালু করেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। এতে জানানো হয়, এই সুবিধা শুধু বৈধ পাস ল্যান কার্ড কেদাতাং সেমেন্টারা (PLKS) ধারকদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে ইমিগ্রেশন বিভাগ এর সমন্বয় করবে।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই উদ্যোগ অভিবাসী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া ও নিজ দেশে যাতায়াত আরও সহজ করবে, একইসাথে ইমিগ্রেশন পাসের অপব্যবহার কমাবে। তাছাড়া বিদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ার দূতাবাসগুলোতে নতুন ভিসা আবেদনের চাপও হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশি কর্মীরা এখন থেকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রয়োজনে সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন, যা আগে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার কারণে সীমাবদ্ধ ছিল।

গত ১৫ জুলাই কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক ফেসবুক পোস্টে এই ভিসা চালুর বিষয়ে অবহিত করেছিল।

বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে। আলোচনার পর ১০ জুলাই এ বিষয়ে সরকারি পরিপত্র জারি করা হয়।

এমইভি চালুর ফলে বর্তমানে ১৫টি শ্রমিক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মতোই একাধিকবার যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। এতে তাদের ভ্রমণ সুবিধা ও কর্মজীবনে স্বস্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

×