| ৬ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু’মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু’মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু'মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীরভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু'মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ভারত পরিকল্পিতভাবে পুশ-ইন কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। জোরপূর্বক রোহিঙ্গা ও বাংলাভাষীদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অবৈধ পুশ-ইন বন্ধ ও সার্বভৌমত্ববিরোধী করিডোর প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন। সভার আয়োজন করে ‘সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ’।

তিনি বলেন, জোরপূর্বক এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষ ঠেলে দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারত বাংলাদেশে বারবার পুশ-ইন চালাচ্ছে। পতাকা বৈঠক ও কূটনৈতিক চিঠিপত্রের পরও ভারত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিজিবির নজর এড়িয়ে চোরাপথে পুশ-ইন বেড়েই চলেছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

কাদের গনি বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালিয়ে জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আগ্রাসী আচরণ। তিনি ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থাপনাকে আগ্রাসী উল্লেখ করে বলেন, বিএসএফ নিয়মিতভাবে বাংলাদেশিদের গুলি করে ও নির্যাতন করে হত্যা করছে। এর আগে ফেলানির মতো ঘটনা বিশ্ববাসী দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের গায়েবি অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি তালেবান শাসনের মতো উদ্ভট তথ্য ছড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, ভারত যদি মনে করে তাদের দেশে কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করছে, তবে তাকে চিহ্নিত করে, যাচাই-বাছাই করে, আইনি প্রক্রিয়া ও দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা না করে যাকে-তাকে পুশ-ইন করা বেআইনি ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। বর্তমানে সীমান্তে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো করে বাংলাদেশে পুশ-ইনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, ২০০২-০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময়েও ভারত এ ধরনের পুশ-ইন কৌশল নিয়েছিল। হাসিনা সরকার আসার পর তা কমলেও সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সীমিত করেছে এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি বোঝায় ভারত বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে। ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বডুয়া বলেন, আইন বহির্ভূতভাবে পুশ-ইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। পুশইনের জবাব হিসেবে প্রয়োজন পুশব্যাক।
তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এটিএম জিয়াউল হাসান, কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এম শাহজান সাজু, ড. নাসির আহমেদ প্রমুখ।

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু’মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

জাতীয় পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কক্সবাজার সফরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করা হয়েছে, যা একেবারে প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং গোপনীয়তার কঠোর অবমাননা। তারা বলছেন, এই ধরনের ফুটেজ ফাঁসের ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

 

মঙ্গলবার তারা ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ সী পার্লে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তাদের অবস্থান নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছিল। কিন্তু গোপনীয়ভাবে তোলা সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এনসিপি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

 

এনসিপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

 

এদিকে, এই ঘটনায় উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন এমন গোপন ফুটেজ ফাঁসের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের তথ্য ফাঁস রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে।

হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামদের বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র: অভিযোগ ঢাবি শিবির সভাপতির

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু’মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

ফরহাদ বলেন,

আজকের মব সৃষ্টির ফ্রেমিংটা ১৯৭১ বনাম ২০২৪ নয়। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা। শাহবাগ ও বাকশালকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন,

আমরা শাহবাগ ও বাকশালের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। সামনে আবার এ ধরনের ষড়যন্ত্র হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

শিবির সভাপতি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসন টিকিয়ে রাখতে বাম সংগঠনগুলো নানা তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন,

মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যদের ফাঁসির আদেশ ছিল বিচারিক হত্যাকাণ্ড। এর দায় শুধু শেখ হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদীদের দোসরদেরও।

এ সময় তিনি দাবি করেন,

যারা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছে, তারা সবাই বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের পদধারী। ১০-১২টি সংগঠন থেকে মাত্র ২০-২৫ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

এর আগে ঢাবির টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবির আয়োজন করেছিল তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’। এ আয়োজনে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের ছবি রাখা হয়েছিল। বামপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আপত্তির মুখে সেসব ছবি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়।

বজ্রপাতরোধে শ্যামনগরে সড়কের পাশে তালের চারা রোপন

ভারতের পুশ-ইন কৌশলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হু’মকিতে: অভিযোগ বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর

ছবি- শ্যামনগরে গ্রামীন সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুন।

সোমবার(৪ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বজ্রপাতরোধে গ্রামীণ সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

শ্যামনগর পৌরসভা সদরের কালমেঘা ও হাটছোলা গ্রামীণ সড়কে তালের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন।

 

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর অসংখ্যা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তিনি এলাকাবাসীকে রোপনকৃত চারা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে নানা মুখি সুবিধা গ্রহণের আহব্বান জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী আরিফুল হক, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন,এস এম আহসান উল্যা, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্যা স্থানীয় কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।

 

জানা যায় খরিপ-২ এর কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় দুটি সড়কের পাশে দুই শতটি করে তালের চারা রোপন করা হয়েছে।

×