জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদে শুধুমাত্র সেই প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে যেগুলোতে রাজনৈতিক দলের সম্মতি থাকবে। যদিও সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়, সময়ের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে কিছু উপসংহার টানতে হবে। তিনি জানান, লক্ষ্য হলো আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সূচনায় আলী রিয়াজ এসব কথা বলেন। এই সংলাপে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ আরও বলেন,

“কোন প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত না হয়, সেগুলো ‘আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি’ হিসেবে উল্লেখ থাকবে।”

তিনি জানান, আলাদা আলাদা দলের সঙ্গে নয়, সম্মিলিত সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

“আমরা এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে চাই, যেখানে সব রাজনৈতিক দল ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করা যাবে। প্রত্যেক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান ও রাজনৈতিক ইশতেহার বজায় রাখবে, তবে অতিরিক্ত মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।”

সংলাপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করা। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।