
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে নারী নেত্রীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিবাগাত উল্লাহ আকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রোববার (১ জুন) সিএমপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ মে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে ছাত্র শিবিরকর্মী পরিচয়ধারী আকাশ চৌধুরী এক নারীকে লাথি মারেন। ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেফতার: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও বিভিন্ন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কোতোয়ালি থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইমাম হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স আসামিকে শনাক্ত করেন। এরপর আজ রোববার কোতোয়ালি থানাধীন লালদিঘী মাঠ এলাকা থেকে আকাশ চৌধুরীকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
আকাশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৮ মে সংঘটিত এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে।
ঘটনার পেছনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: বুধবার (২৮ মে) বিকেলে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদ এবং রাজশাহীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বাম ছাত্রজোট। সেখানেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশ চৌধুরী এক নারী নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে লাথি মারছেন। ঘটনার পর গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট দাবি করে, আকাশ চৌধুরী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী। যদিও পরে জামায়াত কর্তৃপক্ষ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে।
আন্দোলনের পরিণতি: নারী নেত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।