| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে আজ থেকে ৯২ দিন বনজীবি ও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত তিন মাসের জন্য বনজীবি,পর্যটক ও মৎস্যজীবি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরারেঞ্জের রেঞ্জ সহকারী হাবিবুল ইসলাম । গত দুই তিন দিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে সকলকে জানানোর উদ্দেশ্যে। একই সাথে সুন্দরবনের মধ্যে টহল জোরদার করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ বনটহল ফাঁড়ির ফরেস্টার নির্মল মন্ডল বলেন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ করে মাছের ও বন্য প্রাণির প্রজনন মৌসুম থাকায় আগামী তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এই সময়ে কোন প্রকার অনুমতিপত্র (পাশ) দেওয়া হবে না। একইসাথে পর্যটকবৃন্দও সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তবে এ নিষেধাজ্ঞায় বননির্ভরশীল বনজীবিরা, ট্রলারচালক, মৎস্যজীবিবৃন্দ, ট্যুরঅপারেটরবৃন্দ কিভাবে সংসার চালাবেন এনিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। মৎস্যজীবি জেলেরা বলেন বন্ধের সময় যে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয় সেটি চাহিদার তুলনায় কম। সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন সুন্দরবন পেশাজীবিরা।

এদিকে সুন্দরবনের মধ্যে থাকা জেলেদের সকলকে শনিবার(৩১মে) এর মধ্যে লোকালয়ে ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। ফরেস্টার নির্মল মন্ডল বলেন গত ২/৩ দিন সুন্দরবনের মধ্যে পেট্রোল টিমে ছিলেন। বনে অবস্থানকারী জেলেদেরকে শনিবারের মধ্যে ফিরতে বলা হয়েছে। অনেকে ইতিপূর্বে ফিরে এসে নৌকা মেরামত করার জন্য উপরে তুলেছেন বা ভাবছেন।

দাতিনাখালী এলাকার জেলে আজগর আলী, রবিউল ইসলাম বলেন তিন মাস বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা বন্ধ। কিভাবে পরিবারে ব্যয় নির্বাহ করব এটা নিয়ে চিন্তায় আছি। অনেকে বলেছেন মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ সম্পূর্নরুপে নিষিদ্ধ। আবার ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ এটা দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় মৎস্য আহরণে সমস্যার সৃষ্টি হয় এর ফলে আয় কমে যায়।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার বলেন শ্যামনগরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ২৩ হাজার ৯২৮ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৫৬ জন ও নারী জেলে ৭ হাজার ৭৩ জন। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় ভিজিএফ সহায়তায় চাল পাবেন ৮ হাজার ৩২৪ জন। এসব জেলেরা চাল পাবেন কার্ড প্রতি ৫৬ কেজি হারে। জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরারেঞ্জে বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ৪টি ষ্টেশনের আওতায় প্রায় ২ হাজার ৯০০ শত
বিএলসি রয়েছে।

অপরদিকে ট্যুর অপারেটর ও ট্রলার চালকরা বলেন তাদের এই ৯২ দিন একরকম হাতপা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। সুন্দরবনে পর্যটক নিষিদ্ধ সেকারণে ট্রলার ভাড়াও বন্ধ।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরারেঞ্জের রেঞ্জ সহকারী হাবিবুর রহমান বলেন জুন,জুলাই ও আগষ্ট বনজ সম্পদ সংরক্ষণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরবনে বনজীবি ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিয়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা হয়। বন্ধ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে টহল জোরদার থাকবে বলেও জানান।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

 জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট)সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একত্রিত করে সাতক্ষীরা -৪ আসনে পরিণত করায় উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের চক্রান্ত করা হয়েছে। এই দুই উপজেলা বহু ব-দ্বীপ ও দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উপজেলা দুটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও দুর্যোগ পীড়িত উপজেলাকে এক আসনে অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। পূর্বের ন্যায় শ্যামনগরকে একটি একক আসন অথবা  শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একত্র করে আলাদা একটি আসন গঠন করা হলে জনগণের উপকারে আসবে।

তিনি বলেন সাতক্ষীরা জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমে শ্যামনগরের বা আশাশুনির লোকজন একে অপরের উপজেলায় যেতে হয় না। বরং কালিগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়ক দিয়ে যেতে হয়। ইতিপূর্বে শ্যামনগরের পৃথক আসন ছিল এবং পরবর্তীতে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়ন কালিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন গঠিত হয়। সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেটটি সংশোধন করে জনগণের স্বার্থে আশাশুনির সাথে শ্যামনগর উপজেলাকে কোন অবস্থাতে সংযুক্ত না করার দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও জামায়াতের উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি সাইদী হাসান বুলবুল প্রমূখ।

ছবি- শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম।

৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’: পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা বিজিএমইএর

আজ থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনের দুয়ার বন্ধ

আসন্ন ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ঘোষিত জাতীয় ছুটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং ওই দিনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলো বছরের নির্ধারিত ১১ দিনের উৎসব ছুটির বাইরে সাধারণ ছুটিতে বাধ্য নয়, তবুও ৫ আগস্টের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা দেশের সব কারখানাকে ওই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

আইনগত দিক: বিজিএমইএ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এর বিধি ১১০ অনুযায়ী এই ছুটি বাধ্যতামূলক না হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এটি পালন করা উচিত।

 শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: এই দিনটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বিজিএমইএ’র এই পদক্ষেপকে পোশাক খাতের সামাজিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

×