রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এ ঘটনায় মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর দলটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। ঘটনাস্থল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় যৌথবাহিনী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শনিবার রাতেই রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে এই জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালিত হয়।
খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিকে যারা আশ্রয় দেবে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
আখতার হোসেন আরও লেখেন, “গৃহপালিত বিরোধী দল সেজে গণতন্ত্র হত্যা ও আওয়ামী শাসনের দোসর হিসেবে ভূমিকা রাখা জাতীয় পার্টি এখন রংপুরের রাজনীতিকে অস্থির করছে। যারা এই দলকে আশ্রয় দেবে বা বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় সহযোগিতা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।”
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রংপুর এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন : নির্বাচন নিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করবেন না: মির্জা আব্বাস
নিবন্ধনবিহীন দলগুলোই ডিসেম্বরের নির্বাচনে অনাগ্রহী: আমীর খসরু