মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টোকিওতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রীর হৃদ্যতাপূর্ণ সাক্ষাৎ

আবাসন নিউজ২৪|অনলাইন ডেস্কঃ

টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবিঃ প্রফেসর ইউনূসের ফেসবুক পেজ থেকে।

 

জাপানের রাজধানী টোকিওর ঐতিহ্যবাহী ইম্পেরিয়াল হোটেলে বুধবার তৈরি হলো এক অনন্য মানবিক দৃশ্য। সেখানে মুখোমুখি হলেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী লীগের সভাপতি তারো আসো।

 

এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল শুধু দুটি দেশের কূটনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এক অন্তরঙ্গ এবং আন্তরিক সম্পর্কের প্রতিফলন। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ, উন্নয়ন চিন্তা ও সামাজিক ব্যবসার ভবিষ্যৎ দিগন্ত নিয়ে তাঁদের মধ্যে উষ্ণ আলোচনা হয়।

 

সাক্ষাতে প্রফেসর ইউনূস উপহার হিসেবে তুলে দেন তাঁর অনুপ্রেরণায় তৈরি “আর্ট অব ফ্রিডম” নামের এক বিশেষ শিল্পকর্ম। এই উপহার শুধু একটি প্রতীকী উপস্থাপনাই নয়, এটি যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং মানবিক দর্শনের একটি মূর্ত প্রতিচ্ছবি।

 

পরবর্তীতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে প্রফেসর ইউনূস লেখেন—

“জাপানে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের সভাপতি মি. তারো আসোর সঙ্গে এক হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠক হলো। আমরা দুই দেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি।”

 

ছবিতে দেখা যায়, দুই নেতা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে উপহার, মুখে আন্তরিকতা। দৃশ্যটি যেন বলে দেয়—রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, এতে জড়িয়ে থাকে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার।

 

বিশ্বজুড়ে সামাজিক ব্যবসা এবং মানবিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া প্রফেসর ইউনূসের এই সফরকে আন্তর্জাতিক মহল দেখছে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ হিসেবে। যেখানে অর্থনীতি আর মানবতা একসঙ্গে হাঁটে, সেখানে এমন দৃশ্য নতুন আশার আলো হয়ে দেখা দেয়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাক্ষাৎ শুধু দুই নেতার মধ্যকার একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং এটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধনকে আরও মজবুত করে তুলবে।

আরও পড়ুন  অপরূপ গাজনার বিল
WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram