| ৮ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

কারাগার থেকে মুক্তির পর শাহবাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মুক্তি পান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড থেকে খালাস পান এটিএম আজহারুল ইসলাম। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় গতকাল বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর এবং চার নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম।

এ ছাড়া পাঁচ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ছয় নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ছয় নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।

শ্যামনগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র- গুলি সহ আটক-৩

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র-গুলি সহ তিন জনকে আটক করেছে কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা।

৬ আগস্ট বিকাল ৪ঘটিকার সময় উপজেলার ভেটখালী বাজারে কুতুব উদ্দীনের চায়ের দোকানে এ অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। অভিযানে সেনাবাহিনী ১টি একনলা বন্ধুক, ১৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩টি বার্টুন ফোন ও ৩টি স্মাট জব্দ করে। আটকৃকতরা হলে- উপজেলার কালিঞ্চী গ্রামে আবু দাউদ গাজীর পুত্র রবিউল ইসলাম (৪৫), তারানীপুর গ্রামে আঃ সবুর শেখের পুত্র আলমগীর হোসেন বাবু (৩৬) ও গোলাখালী গ্রামে মৃত সিয়াদ উদ্দীন মোল্যার পুত্র জামিরুল ইসলাম জামু (৫৫)।

শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে উক্ত তিন আসামী ও জব্দকৃত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে কালিগঞ্জ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে কালিগঞ্জ সেনা সদস্যরা ৭ আগস্ট বিকাল ৫ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামী ও জব্দকৃত মালামাল শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলা চলমান রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে চোরা চালান, মানব পাচার, অস্ত্র আইন সহ মাদক দ্রব্য আইনের একাধিক মামলা রয়েছে।

কলকাতায় গোপন ‘দলীয় অফিস’ খুলেছে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

বাংলাদেশে সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে দেশ ছেড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। তাঁদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। তবে শুধু আত্মগোপনেই থেমে থাকেননি তাঁরা—নীরবে গড়ে তুলেছেন একটি ‘দলীয় অফিস’। চলছে বৈঠক, সাংগঠনিক পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের কাজ।

 

বিবিসি বাংলার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার এক বাণিজ্যিক ভবনের আটতলায় এমন একটি অফিস চালু করা হয়েছে, যেখানে বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। নেই কোনো সাইনবোর্ড, পতাকা বা দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার ছবিও।

 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পরই দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপর থেকেই ভারতে পাড়ি জমান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী। শুরুতে ব্যক্তিগত বাসাবাড়িতে বৈঠক হলেও, বড় ধরনের মিটিংয়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বা হল ভাড়া করতে হতো। সেই প্রয়োজন থেকেই তৈরি হয় স্থায়ী ‘অস্থায়ী’ দলীয় কার্যালয়ের পরিকল্পনা।

 

কারা যান এই অফিসে?

প্রতিদিন না হলেও, প্রয়োজনে যাতায়াত করেন ৩০-৩৫ জনের মতো নেতা। কেউ কেউ সপরিবারে আছেন, কেউ বা কয়েকজন মিলে একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন। সূত্র জানায়, অন্তত ৭০ জন সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ প্রায় ২০০ জন শীর্ষ নেতা কলকাতা ও আশপাশে বাস করছেন।

 

অফিসটিকে বাইরে থেকে সাধারণ ব্যবসায়িক অফিস বলেই মনে হয়। আগের সংস্থার ফার্নিচার ব্যবহার করা হয়; কোনোরকম চিহ্ন রাখা হয়নি ইচ্ছাকৃতভাবেই। আওয়ামী লীগের এক পলাতক নেতা বিবিসিকে বলেন, “আমরা চেয়েছি, কেউ বুঝতে না পারে এটি আমাদের কার্যালয়। এটি মূলত কৌশলগত নিরাপত্তার অংশ।”

 

ভারতে রাজনৈতিক কার্যক্রম কিভাবে চলছে?

প্রশ্ন উঠছে, একটি বিদেশি রাজনৈতিক দল ভারতের ভেতরে কীভাবে এমন কার্যক্রম চালায়? দলটির সূত্র বলছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মৌন অনুমোদনেই সবকিছু চলছে। যদিও সরকারিভাবে ভারত এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

 

এই গোপন ‘কেন্দ্র’ এখন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের কৌশলগত সমন্বয়স্থল হয়ে উঠেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, পরিস্থিতি বদলালে তাঁরা আবারও দেশে ফিরে সংগঠন পুনর্গঠন করবেন।

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

শ্যামনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ঊপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনে টাইফয়েড টিকাদান গ্রহণের বয়স, পদ্ধতি, শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষার্থীদের করণীয়, টিকাদান গ্রহনে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান ও ডাবলুএইচও এর মেডিকেল অফিসার মোঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্টানে উপজেলার মাধ্যমিক,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর/৯ম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে সকল শিশু টিকা পাবেন। স্কুলে ও স্থানীয় ইউপিআই সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। শ্যামনগর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ হাজার ৫৫৭ জন শিশু।

×