| ২০ জুন ২০২৫

স্বপ্নের নামে প্রতারণা: ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিঃ ভয়াবহ জালিয়াতি, নারী কর্মীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য

স্বপ্নের নামে প্রতারণা: ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিঃ ভয়াবহ জালিয়াতি, নারী কর্মীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য

একটা সময় বাংলাদেশে জমি বা ফ্ল্যাট মানেই ছিল নির্ভরতার প্রতীক। কিন্তু এখন এক শ্রেণির প্রতারক ‘আবাসন’ শব্দটিকেই করে তুলেছে ভয় আর সন্দেহের নাম। নারায়ণগঞ্জের দাউদপুর এলাকায় এমনই এক ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে, যারা ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ নামে দুইটি প্রকল্পে জমি বিক্রি করছে কোনো বৈধ অনুমোদন ছাড়াই।

চটকদার বিজ্ঞাপন, কিন্তু নেই কাগজপত্র!

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফেসবুকে লাইভ, পোস্টার, বিলবোর্ডের মাধ্যমে আকর্ষণীয় অফার দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে স্থানীয়দের দাবি—

“এই জমিগুলোর মালিক তারা নয়। শুধু সাইনবোর্ড লাগিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে জমি বিক্রি করছে।”

 

চেয়ারম্যান বললেনঃ কোনো অনুমোদন নেই

এ বিষয়ে দাউদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন— “আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার সময়ে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ‘গ্রিন ভ্যালি’ এবং ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পের কোনো অনুমোদন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয়নি।”

স্বপ্নের নামে প্রতারণা

ছবিঃচটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আবাসন মেলা নামে প্রতারণা

 

সচিবের বক্তব্যঃসরাসরি প্রতারণা

ইউনিয়ন সচিব শামীম মিয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন—এই কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে কোনো অনাপত্তি পত্র (NOC) নেয়নি। তাদের প্রকল্পগুলো পুরোপুরি অবৈধ।

 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর অনৈতিক প্রস্তাব ও বেতন বঞ্চনার অভিযোগ

নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রতারণা শুধু জমি নিয়েই নয়, বিস্তৃত হয়েছে তাদের অফিস সংস্কৃতিতেও। সংস্থার বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি—নারী ও পুরুষ উভয়েই—আবাসন নিউজ ২৪-কে জানিয়েছেন, কোম্পানিতে নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না। মাসের পর মাস কাজ করেও অনেকে পাননি প্রাপ্য সম্মানী।

তাদের ভাষায়—এমডি স্যার শুধু তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নারী প্রতিনিধিকে ঠিকমতো বেতন দেন। বাকি সবার ব্যাপারে কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন দুজন সাবেক নারী কর্মী। তাদের দাবি—কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে এমডি স্যার আমাদের অনৈতিক প্রস্তাব দেন। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলে তিনি আমাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেন।

এইসব অভিযোগের বক্তব্যের প্রমাণস্বরূপ কিছু কল রেকর্ড ও মেসেজ আবাসন নিউজ ২৪-এর কাছে জমা দিয়েছেন তারা।

তবে বিষয়টি নিয়ে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হুদা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

নুরুল হুদার অতীত: বারবার একই প্রতারণার ছক

এইসব অভিযোগের পেছনে যে একটা ধারাবাহিক পরিকল্পনা রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে নুরুল হুদার অতীত ঘেঁটে। অনুসন্ধানে জানা গেছে—

নুরুল হুদা পূর্বে আরও তিন থেকে চারটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিবারই একই কৌশলে জমির কাগজ না থাকা সত্ত্বেও বিক্রির চেষ্টা এবং নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

 

প্রতারিত একজন গ্রাহক বলেন—

এই লোকটা জানে, কিভাবে ফেসবুকে পোস্ট আর কথার জাদুতে সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে টাকা তুলে নেওয়া যায়।”

 

তার মত কিছু মানুষের কারণে পুরো রিয়েল এস্টেট খাত আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের মতো কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র নিজেদের লাভের জন্য পুরো আবাসন শিল্পের বদনাম ডেকে আনছে।”

 

প্রমাণ শুনেই ফোন কেটে দেন এমডি!

এই অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হুদা প্রথমে বলেন—আমার কাছে সব বৈধ কাগজ আছে

কিন্তু যখন তাঁর সামনে চেয়ারম্যান, সচিব ও নারী কর্মীদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়, তিনি ফোন কেটে দেন এবং এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি।

এটা শুধু প্রতারণা নয়—মানুষের জীবনের সঙ্গে নির্মম খেলা

জমি মানে শুধু একটি টুকরো মাটি নয়। এটা একজন মানুষ ও তার পরিবারের স্বপ্ন, শ্রম, সঞ্চয়, এবং ভবিষ্যৎ। এই স্বপ্নের সঙ্গেই প্রতারণা করছে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড। এটা আইনি অপরাধের বাইরেও এক গভীর মানবিক ট্রাজেডি।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন: কতদিন এভাবে চলবে?

প্রমাণ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নীরব। প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তা ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে।

এটা শুধু একটি কোম্পানির দুর্নীতি নয়—এটা একটি খাতের মর্যাদাকে পদদলিত করার ঘটনা। আমরা চাই, প্রশাসন এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুক।

মুন্সীগঞ্জে জাতীয় ফল মেলা শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

স্বপ্নের নামে প্রতারণা: ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিঃ ভয়াবহ জালিয়াতি, নারী কর্মীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য

দেশী ফল সবাই খাই-আসুন ফলের গাছ লাগাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ১৯ জুন‌ বৃহস্প্রতিবার  মুন্সীগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত।

পরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্তের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ন কবীর,মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান।

এসময় জেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

স্বপ্নের নামে প্রতারণা: ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিঃ ভয়াবহ জালিয়াতি, নারী কর্মীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য

ক্রমাগত বন নিধনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে কার্বন সংরক্ষণ, বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বাঁধ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে ১ একর ৪৪ শতক জমিতে বনায়ন তৈরির লক্ষ্যে লিডার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ -এর যৌথ উদ্যোগে একটি “সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপকূলীয় উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস. এম. দেলোয়ার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্যামনগরের সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জীব কুমার গাইন, বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের ফরেস্টার সজল মজুমদার প্রমুখ।

লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং কর্মসূচি পরিচালক এ. বি. এম. জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ শওকৎ হোসেন, টিম লিডার রেখা খাতুন, অসিত মণ্ডল, লায়লা খাতুন, প্রকল্পের হিসাবরক্ষক মিলন মণ্ডল, টেকনিক্যাল অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন,নদীর চরে বনায়ন তৈরি বাধ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে উৎপাদিত গাছগুলো বাঁধকে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষা দেবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি নদীর চর ও বাঁধ এলাকায় টেকসই বনায়ন গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।

লিডার্সের এ উদ্যোগ পরিবেশ ও প্রতিবেশ, বাঁধ সংরক্ষণ, জীব বৈচিত্র সুরক্ষা এবং নদীর চরে টেকসই বনায়ন গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে অন্যানারা আশা প্রকাশ করেন।

শ্যামনগরে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

স্বপ্নের নামে প্রতারণা: ‘গ্রিন ভ্যালি’ ও ‘স্বপ্ন ভ্যালি’ প্রকল্পে নকশিকলা প্রোপার্টিজ লিঃ ভয়াবহ জালিয়াতি, নারী কর্মীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) সকালে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার আয়োজনে এবং এএলআরডির সহযোগীতায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুন। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য রনজিৎ বর্মন , সিডিওর নির্বাহী পরিচালক গাজী আল-ইমরান।

দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু দাবী সমূহ তুলে ধরা হয়। দাবী সমূহ হল- ভূমিহীন আদিবাসী ও জেলেদের সম্প্রদয়ের মাঝে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া, সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে নারী ও প্রতিবন্ধী বান্ধব করে গড়ে তোলা, আদিবাসী ও জেলে পরিবার গুলোতে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আদিবাসী ও দলিত প্রতিনিধি নিশ্চিত করা, প্লাষ্টিক দূষণ রোধে পারিবারিক ও সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা, সুন্দরবন উপকূলের দাতিনাখালী সাইক্লোন শেল্টার স্থাপন করা সহ অন্যান্য দাবী।

সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ডার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোমিনুর রহমান, রামপ্রসাদ মুন্ডা, পুষ্প রানী, বিভিন্ন এলাকার মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ প্রমুখ।

×