পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর-আজিমপুর গ্রামের লক্ষ্মীর খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) আনুমানিক ভোররাতে বিকট শব্দে ব্রিজটি খালে পড়ে যায়।
হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ওই সেতুর ওপর নির্ভরশীল অন্তত কয়এটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার এর বেশি মানুষ এবং সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাগামী দেশি-বিদেশি পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কারণ এই ব্রিজটি ছিল তাহেরপুর ও আজিমপুর সংযুক্ত একমাত্র চলাচলের মাধ্যম।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ১১ আগস্ট এক ব্যবসায়ী সারবোঝাই টমটম নিয়ে ব্রিজ পার হওয়ার সময় এর দক্ষিণাংশ ভেঙে যায়। তখন কাঠের তক্তা দিয়ে অস্থায়ী মেরামত করে চলাচল শুরু হয়। মাসের পর মাস ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সেই কাঠের উপর দিয়েই স্কুল শিক্ষার্থী, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান ও পথচারীরা চলাচল করছিলেন। একপর্যায়ে তা পুরোপুরি ধসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা রিমা বলেন, “ব্রিজটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করেছি। এখন যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ।”
মুসুল্লিয়াবাদ এ, কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় আজিমপুর এক শিক্ষার্থী বলেন, “স্কুলে যাওয়া এখন দুঃস্বপ্ন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা একেবারে বিপাকে পড়েছি।”
স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য,
“সাগরকন্যা কুয়াকাটা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। কুয়াকাটা-আলিপুর-আমখলাপাড়া-তাহেরপুর-আজিমপুর হয়ে মিস্ত্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির ও রাখাইন মার্কেট যেতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক এবং শিক্ষার্থী এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পথে ব্রিজ ভেঙে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, “তাহেরপুর-আজিমপুরের ভেঙে পড়া ব্রিজটির বিষয়ে আমরা জেনেছি। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”