পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজটি যোগ হয়েছিল বাংলাদেশ দলের সূচিতে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানো হোক বা প্রস্তুতি বাড়ানো— প্রথম ম্যাচ জয়ের পর যুক্ত হলো আরেকটি ম্যাচ। তবে কে জানত, এই অতিরিক্ত ম্যাচটিই সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হয়ে উঠবে!
শারজাহতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য এক হার বাংলাদেশের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে— সিরিজ জেতা। আর এই চ্যালেঞ্জে অতীতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। কারণ, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই টাইগারদের।
পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, গত ৭ বছরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দু'বার। সবশেষ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয় এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, প্রায় ৬ বছর ৯ মাস আগে। ১৯ রানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয় এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২৫ জুলাই ২০২১ সালে। এরপর যতবারই ১-১ সমতা নিয়ে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ, পরাজয়ের হতাশাই ফিরে এসেছে।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ১-০ এগিয়ে গিয়েও সিরিজ ভাগাভাগি করতে হয় টাইগারদের। ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও একই চিত্র— ১-০ এগিয়ে থেকেও সিরিজ হার।
এই ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় নতুন কিছু নয়। তবে আজ যদি বাংলাদেশ জেতে, তবে তারা ফিরতে পারবে সেই ১৩৯৬ দিন আগের মধুর স্মৃতিতে। বছর হিসেবে যা দাঁড়ায় ৩ বছর, ৯ মাস, ২৭ দিন।
আজ শারজাহতে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি। একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিতও রয়েছে। পায়ের সমস্যায় ভোগা পারভেজ হোসেন ইমন ফিরতে পারেন একাদশে। ফিরে আসতে পারেন হাসান মাহমুদও। আগের ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দেখা যেতে পারে নাহিদ রানাকে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয়, জাকার আলী অনিক, শামিম পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।