
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মঙ্গলবার (২০ মে) এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বাহিনীগুলোর কাছ থেকে তথ্য ও পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
এছাড়া সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এই বৈঠকে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। বৈঠকে আরও অংশ নেন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয় এবং কোথাও কোনো অস্থিতিশীলতা কিংবা হুমকি আছে কিনা, সে বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেভাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও বলেন, “রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বড় বড় ঘটনা দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে, তা আমাদের আশাবাদী করে তোলে।”
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে সকল নিরাপত্তা সংস্থা।
এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির একটি বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।