| ৩ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

মাদক মামলায়-৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক-১ জন আসামী গ্রেফতার

মাদক মামলায়-৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক-১ জন আসামী গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সুন্দরপর ইউনিয়নের অর্ন্তগত মোল্লামোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯ মে ২০২৫ ইং তারিখ০৫:৩০ঘটিকায় মাদক মামলায় ০৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪০), পিতা-মোঃ আবু বাক্কার, সাং-পারকালিনগর মিলের পাড়, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবঞ্জকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, আটককৃত আসামী একজন মাদক ব্যবসায়ী। গত ২০২২ ইং সনে মাদক সরবরাহের অভিযোগে মাদক সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হাতেনাতে ধৃত হয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় তার নামে একটি মাদক মামলা দায়ের হয়। বিজ্ঞ আদালত উক্ত আসামীকে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ০৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর নামে আরোও তিনটি গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট ইস্যু রয়েছে।

উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইসি একটি দলের উর্দি পরা মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক

মাদক মামলায়-৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক-১ জন আসামী গ্রেফতার

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) “একটি দলের উর্দি পরা মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,

“গত ১৫ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন গণতান্ত্রিকভাবে অংশ নিতে চাইলেও নির্বাচন কমিশনই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট দল ছাড়া সবাইকে দমন করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,

“ইসি যদি সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত না করে, তাহলে এনসিপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না।”

এসময় তিনি আরও জানান, ইসিতে এনসিপির নিবন্ধনের জন্য সংশোধিত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে এবং ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের আশা করছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,

“এই নির্বাচন কমিশন দিন দিন মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে। এই ধারা চললে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানাবো।”

১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

মাদক মামলায়-৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক-১ জন আসামী গ্রেফতার

আগস্ট মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯১ টাকা কমিয়ে ১,২৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা ১৮ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

নতুন এই দাম আজ সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২ জুলাই ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১,৩৬৪ টাকা করা হয়েছিল এবং অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

বিইআরসি প্রতি মাসে সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক দামের ভিত্তিতে দেশীয় বাজারে এলপিজির দাম সমন্বয় করে।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল। তখন থেকেই প্রতি মাসে এই মূল্য হালনাগাদ করা হচ্ছে।

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

মাদক মামলায়-৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক-১ জন আসামী গ্রেফতার

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) যেন আজ ভিন্ন এক সকালে জেগে উঠেছিল—পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধে আলোকিত হয়ে। ২ আগস্ট সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল চত্বর যেন মুখর ছিল এক আনন্দময়, দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে। বিজয় ২৪ হল থেকে শুরু করে একে একে এম কেরামত আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ ও ২, তাপসী রাবেয়া বসরী ছাত্রী হল এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই পরিচ্ছন্নতার মহোৎসব। দীর্ঘ দু’ঘণ্টার এই কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থাকা এই মানুষটি নিজ হাতে ঝাড়ু নিয়ে নামেন হলগুলোর করিডোর, ডাইনিং স্পেস, বাথরুম ও আবাসিক কক্ষগুলোতে। তার হাতে যখন ঝাড়ুর স্পর্শে উঠতে থাকে ধুলোবালির স্তর, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চোখে ভাসে সম্মানের আলো।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সম্পর্কে পবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানের কেন্দ্র নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মানবিক, দায়িত্বশীল ও নৈতিকভাবে গড়ে ওঠার একটি মঞ্চ। পবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা যেন পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে ওঠে। একজন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নয়, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি চাই এই ক্যাম্পাস হোক আমাদের সম্মিলিত গর্ব।”

ছাত্রদের কণ্ঠে তখন ঝরছে আবেগ আর কৃতজ্ঞতা। শহীদ জিয়াউর রহমান হল এর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সোহেল রানা জনি এবং এম কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী রিমন, তানজিম ও আকাশ বলেন,“স্যারকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আজ আমাদের চোখের সামনে যখন উনি নিজের হাতে ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করলেন, তখন আমরা বুঝতে পারলাম—নেতৃত্ব কাকে বলে।”

তাপসী রাবেয়া বসরী হলের ছাত্রী তাসলিমা এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী সুকন্যা বলেন, “আমরা তো শুধু শুনেছিলাম, ভাইস-চ্যান্সেলর স্যার একজন আদর্শিক মানুষ। কিন্তু আজ দেখলাম, উনি শুধু নির্দেশই দেন না, নিজেও সেই কাজ করেন। এই দৃশ্য আমাদের মনকে ছুঁয়ে গেছে।”

কর্মসূচিতে ভিসি এর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্টবৃন্দ, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নিরাপত্তা টিমের সদস্যবৃন্দ ও কর্মচারীরা।

সবার মধ্যে কাজ করছিল এক অপরূপ ঐক্য, এক অপার সম্মিলন—যেখানে বয়স, পদ কিংবা পরিচয়ের ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিশে গিয়েছিলেন পরিচ্ছন্নতার এক মহা-আহ্বানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম সজিব আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “আমরা কেবল পাঠ্যপুস্তক দিয়ে শিক্ষার্থী গড়ি না, আদর্শ দিয়ে মানুষ গড়ি। আজকের এই কর্মসূচি সেই আদর্শিক শিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”

পবিপ্রবিতে শুধুমাত্র ধুলোময়লাকে নয়, বরং নিরাসক্ততা, অবহেলা আর উদাসীনতাকেও ঝেঁটিয়ে বিদায় জানানো হলো। ক্যাম্পাস জুড়ে এখন পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার সুবাস—যেখানে নেতৃত্ব, মানবিকতা আর দায়িত্ববোধ মিলেমিশে সৃষ্টি করেছে এক নতুন অধ্যায়।

পবিপ্রবির এই ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি আজ শুধু একটি দিনের কর্মসূচি নয়—এ যেন একটি আন্দোলন, এক আদর্শচর্চা। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন—তা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী নৈতিক বার্তা। সত্যিই, নেতৃত্বের এমন নজির শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে থাকবে বহুদিন, হয়তো সারাজীবন।

×