মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গোপসাগরে মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবিঃ সংগৃহীত

 

চলতি মে মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ১১ ও ১৪ মে দেওয়া পূর্বাভাসে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ থেকে ২৯ মে। ১৯ মে প্রকাশিত তৃতীয় পূর্বাভাসে তিনি পূর্বের পূর্বাভাসগুলোর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেন এবং জানান যে, ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, একই সপ্তাহে আরব সাগরেও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে এবং বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি পরে সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের প্রস্তুত করা নামের তালিকা অনুযায়ী, পরবর্তী দুটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’ ও ‘মন্থা’। ‘শক্তি’ নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া এবং ‘মন্থা’ নামটি থাইল্যান্ডের।

আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো অনুসারে, বঙ্গোপসাগরের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা বেশি। তবে, এটি কোন স্থানে আঘাত হানবে এবং কতটা শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ ও শক্তির ওপর। যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের দু-একদিন আগেই শেষ হয়ে যায়, তবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন  গুম তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর
WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram