আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও উপদেষ্টাদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে জুলাই ঐক্য নামের একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি এই ঘোষণা দেয়।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই হাজার মানুষের রক্তের ভিত্তিতে গঠিত আমাদের এই আন্দোলন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় এখনও সক্রিয়। বিশেষ করে সচিবালয়, গণমাধ্যম ও নানা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তারা প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছেন।”
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশিত হলেও প্রকৃত সংস্কারের কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। বরং কিছু দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা ও আমলাদের যোগসাজশে একটি অস্বচ্ছ বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে—যার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠদের রক্ষা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে ‘জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও উল্লেখ করে জুলাই ঐক্য।
এই অবস্থায় প্ল্যাটফর্মটির অন্তর্ভুক্ত ৭০টিরও বেশি সংগঠনের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছেন যে, স্বৈরাচার ঘনিষ্ঠ আমলাদের চিহ্নিত করতে একটি বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা জরুরি। সেই অনুযায়ী আগামী ১৮ মে (রোববার) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সচিবালয়ে অবস্থানরত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তালিকা তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি তথ্য একাধিকবার যাচাই-বাছাই করেই তা চূড়ান্ত করা হবে। এই তালিকা জাতির সামনে উপস্থাপনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
জুলাই ঐক্যের পরবর্তী ধাপ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সচিবালয়ের পর তারা গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবস্থানরত আওয়ামী ঘনিষ্ঠদেরও তালিকাভুক্ত করবে। ইতোমধ্যে ২০ সদস্যের একটি বিশেষ টিম সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।