| ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

আন্দোলনের মূল্য চাকরি হারিয়ে দিলঃ রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

আন্দোলনের মূল্য চাকরি হারিয়ে দিলঃ রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চলমান এক অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রকল্পের ১৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। মূল অভিযোগ—ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া। অথচ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করাই যেন হয়ে দাঁড়াল তাদের চাকরি হারানোর কারণ।

রোববার (১১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস।

📌 অব্যাহতির পেছনের পটভূমি

সবকিছু শুরু হয় গত ২৮ এপ্রিল থেকে। এনপিসিবিএল-এর একাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৬ মে ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এর পরদিন প্রকল্প এলাকার অফিসে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির জের ধরেই ৮ মে কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুত হন ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ড. জাহেদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক চিঠিতে জানানো হয়, “চাকরিবিধি না মানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে” এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

📩 অব্যাহতির চিঠিতে কী বলা হয়েছে?

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “নোটিশ পেমেন্ট বাবদ তিন মাসের বেতন প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে বরখাস্তকৃতদের রূপপুর প্রকল্প এলাকা ও গ্রিনসিটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

চাকরিচ্যুত প্রকৌশলী হাশমত আলী বলেন,

> “ইমেইলে নোটিশ পেয়েছি। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।”

 

তিনি আরও জানান, বরখাস্ত হওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ৩ জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তাদের কেউ এক দশকের বেশি সময় ধরে এই প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।

⚖️ আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি

চাকরিচ্যুত কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা আইনি দিক বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

একজন অভ্যন্তরীণ সূত্র জানান, আন্দোলনের পেছনে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ, স্বজনপ্রীতি, এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা কর্তৃপক্ষ বারবার উপেক্ষা করেছে।

🔒 প্রশাসনের ভাষ্য

এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন,

> “চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

 

প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুসও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান।

🤝 মানবিক দৃষ্টিকোণ: শুধু চাকরি নয়, ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ

চাকরিচ্যুত কর্মীদের অনেকেই একক উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে এখন তাদের সামনে চরম অনিশ্চয়তা। শিক্ষিত, দক্ষ এই কর্মকর্তারা শুধু প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অবদান রাখছিলেন।

একজন কর্মচারীর স্ত্রীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলা কথা,

> “স্বামীর চাকরিটা ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। কীভাবে সন্তানদের পড়াশোনা চলবে, বুঝতে পারছি না।”

 

📢 বিশ্লেষকদের মতামত

বিশ্লেষকদের মতে, এমন সংবেদনশীল প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতপ্রকাশ ও অভিযোগ জানানোকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। অব্যাহতির মতো কঠিন সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

আন্দোলনের মূল্য চাকরি হারিয়ে দিলঃ রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

আন্দোলনের মূল্য চাকরি হারিয়ে দিলঃ রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

কুষ্টিয়ায় আট লক্ষ টাকার ব্যান্ডরোলযুক্ত নকল বিড়ি জব্দ

আন্দোলনের মূল্য চাকরি হারিয়ে দিলঃ রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

কুষ্টিয়ায় ৪৭ বিজিবির অভিযানে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া আট লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় কতিপয় অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নকল ও চোরাকারবারি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ষোলদাগ বড় মসজিদ নামক স্থান থেকে ৮ লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি, কারিকর বিড়িসহ অন্যান্য বিড়ি আটক করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি। তবে জব্দকৃত বিড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। নকল ও অবৈধ পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলোরেন্স নীতি চালু রয়েছে। যারা দেশের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জব্দকৃত নকল বিড়ি কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হবে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

×