সাপ্তাহিক ছুটি ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল
নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৯ মে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং আজ ১০ মে শনিবার, রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি পেয়ে হাজারো ভ্রমণপিপাসু ছুটে এসেছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের প্রতিটি অংশে দেখা গেছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ গরম উপেক্ষা করে সাগরের নোনা জলে গা ভাসিয়ে নিচ্ছেন প্রশান্তি, কেউবা উপভোগ করছেন সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য। এদিন কুয়াকাটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পর্যটকদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে সৈকতসংলগ্ন ব্যবসা। যেমন ডাব, লেবুর শরবত, নানা ধরনের ঠান্ডা পানীয় খাবার বিক্রি করে ভালো লাভ করছেন স্থানীয় বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে জমে উঠেছে হস্তশিল্প ও কুড়ানো শামুক-ঝিনুক বিক্রির দোকানগুলোও।
পর্যটকেরা শুধু সৈকতেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না; ঘুরে দেখছেন গঙ্গামতি, লেবুরবন, কাউয়ারচর, গঙ্গামতি লেক, মিশিপাড়া বৌদ্ধবিহার ও কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দিরসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী জানান, কুয়াকাটায় প্রায় ২ শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ রুম ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে মোটামুটি ব্যাপক বুকিং হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাপ্তাহিক ছুটি এবং রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায় এর বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে পর্যটকের চাপ থাকায় পর্যটন পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে এবং পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।
আজ শনিবার, ১০ মে, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায় এর বুদ্ধ পূর্ণিমা। স্থানীয়রা মনে করছেন, এ রাখাইনদের ধর্মীয় কার্যক্রমকে ঘিরে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে এবং কুয়াকাটার পর্যটন খাতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।