| ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক ও হতাশায় দ্বীপ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ?

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক ও হতাশায় দ্বীপ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ?

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্র্যের সেন্টমার্টিন ভ্রমণ পিপাসুমানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র। স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, প্রবালসহ মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির অপার সৌন্দর্যে ভরা এই সেন্টমার্টিন। সম্প্রতি এই সেন্টমার্টিন নিয়ে শুরু হয়েছে লুকোচুরি

টেকনাফ থেকে ৩২কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এর চারদিকে শুধু পানি আর পানি। আয়তন মাত্র ১৭ বর্গ কিলোমিটার হলেও প্রাকৃতিকভাবে কঠিন শীলায় গঠিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এছাড়াও অবস্থানগত কারণে ঝড় ঝাপটা দূর্যোগে শত শত বছর ধরে সুরক্ষিত সেন্টমার্টিন এর ভূখন্ড।

নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ধান এই দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য। আর অধিবাসীদের প্রায় সবারই পেশা মৎস্য শিকার। তবে ইদানীং পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ ধর্মপ্রাণ নিতান্ত সহজ-সরল, তাদের উষ্ণ আতিথেয়তা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। খুবই পর্যটন বান্ধব সেন্টমার্টিন এর মানুষ। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে থাকেন। এই সুবাদে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রিক অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠেছে হোটেল মোটেল, পর্যটক যাতায়াতে যুক্ত হয়েছে এক ডজনেরও বেশী আধুনিক জাহাজ। পর্যটক সেবা ও সাগর থেকে আহরিত মৎস্য সম্পদ দিয়ে দ্বীপবাসীর জীবন জীবিকা ভালই চলত।
কিন্তু সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে দ্বীপবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ আতঙ্ক ও হতাশা। অন্তর্বর্তী সরকারের একের পর এক আসংলগ্ন ও রহস্যজনক সিদ্ধান্তের কারণে দ্বীপবাসীর মাঝে এই আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। প্রথমে সরকার মিয়ানমারের আরাকান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির অজুহাতে সেন্টমার্টিনের সাথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। অথচ নাফ নদী দিয়ে সেন্টমাটিনের যাতায়াত না হলেও বঙ্গোপসাগর দিয়ে জাহাজে সেন্টমার্টিন এর সাথে পর্যটক যাতায়াতে কোন ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে না। এছাড়াও গেল পর্যটন মৌসুমে কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ করে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই সেন্টমার্টিনের সাথে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে পর্যটন ব্যবসায়ী, জাহাজ কোম্পানী ও সেন্টমার্টিন এর অধিবাসীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন চলছে সাগরে ৫৮ দিনের মাছধরার নিষেধাজ্ঞা। এতে করে দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ হয়ে পড়ে কর্মহীন বেকার। দ্বীপে এখন বিরাজ করছে চরম দুর্ভিক্ষ।

এছাড়াও সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের ভূখণ্ড হওয়া সত্ত্বেও সেন্টমার্টিনের অধিবাসীদেরকে উপজেলা প্রশাসন এবং কোস্টগার্ড থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে কেন যাতায়াত করতে হবে বোধগম্য নয়। এতে করে দ্বীপের মানুষ অপমানিত বোধ করছে। এসব কারণে সেন্টমার্টিন এর অসংখ্য মানুষ টেকনাফ এবং কক্সবাজার পালিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরের সময় সেন্টমাটিনের মানুষ অভাব অনটনের কারণে ঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অভাবের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আগামী ঈদুল আযহা উদযাপন কিভাবে করবে তার কোন হিসাব তারা মিলাতে পারছেনা বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের অধিবাসীরা।

দ্বীপের সাবেক মেম্বার ও বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, দ্বীপে এখন চরম দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। একদিকে পর্যটন মৌসুমে হঠাৎ করে পরিশের দোহাই দিয়ে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে এখন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলছে। এতে দ্বীপবাসী চরম অনটনে রয়েছে। হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় দ্বীপের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেনা বলেও জানান তিনি। দ্বীপের অসংখ্য মানুষ টেকনাফ এবং কক্সবাজারে কাজের সন্ধানে দ্বীপ ছেড়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের ভূখণ্ড হওয়া সত্ত্বেও সেন্টমার্টিন এবং সেন্টমার্টিন এর অধিবাসীদের নিয়ে সরকারের এ ধরনের আচরণ রহস্যজনক বলে তারা মনে করেন। স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত সেন্টমার্টিনের দশ সহস্রাধিক জনগণের খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করারর শামিল।

মেম্বার হাবিবুর রহমান, নুরুল আলম, সংবাদ কর্মী সিদ্দিকুর রহমান ও রফিকুল আলম সহ অসংখ্য দ্বীপবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার আসলে সেন্টমার্টিনকে নিয়ে কি করতে চান এটা স্পষ্ট নয়। দ্বীপবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন এভাবে দ্বীপের মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দ্বীপ খালি করার কৌশল কিনা? তারা বলেন, এভাবে দ্বীপ খালি করে সেন্টমার্টিন অন্য কোন দেশের হাতে তোলে দেয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রচারণাও হচ্ছে দ্বীপবাসীর মাঝে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, আর কত বিপর্যস্ত হলে সরকার এবং মিডিয়া সেন্টমার্টিনবাসীর খবর শুনবে?
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন এর অধিবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া বা সেন্টমার্টিন অন্য কারো হাতে তুলে দেয়ার বিষয়টি একটি গুজব। সরকার আসলে সেন্টমার্টিনকে একটি পরিবেশবান্ধব দ্বীপ হিসেবে সুরক্ষা করতে চায়।

পর্যটক নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিবেশের ক্ষতি না হয় মত সীমিত আকারে পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, দ্বীপবাসীর ক্ষতি পোষাতে তাদের বিভিন্ন পেশায় জড়িত করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, মিয়ানমারের সাথে সরকারের করিডোর দেওয়ার যে পরিকল্পনার কথা ইতিমধ্যে জানা গেছে এর সাথে সেন্টমার্টিনের কোন যোগসূত্র আছে কি-না এবিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়।
সচেতন হলের মতে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনা কথায় কথায় যেমন বলতেন, সেন্টমার্টিন লিখে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। এখন প্রশ্ন উঠছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এরকম কোন চাপে পড়েছে কিনা? নাহলে সেন্টমার্টিন নিয়ে এরকম লুকোচুরির কারণ কি?
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একে আহসান উদ্দীন বলেন, স্থানীয় লোকজনের যাতায়াতে কোন সমস্যা নেই। তবে বিভিন্ন প্রকল্পের লোকজনকে অনুমতি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দ্বীপে দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, পর্যটক যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় তাদের জন্য বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
কেন সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করা হলো এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন বলেন, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য, বাঁচানোর জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক ও হতাশায় দ্বীপ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ?

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক ও হতাশায় দ্বীপ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ?

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ, আতঙ্ক ও হতাশায় দ্বীপ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×