| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ না হতেই হাতের খোঁচায় উঠে যাচ্ছে পাথর ও পিচের ঢালাই।

এতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ বাস্তবায়নকারী ব্যক্তি মো. বেলাল হোসেন এর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলডাঙ্গা ঘাটপার পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তা ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ২২৮ টাকা ব্যয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেয়।

এরমধ্যে বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১৬০০ মিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাই এবং অবশিষ্ট রাস্তা কার্পেটিং হওয়ার কথা। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহযোগিতায় কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।

দরপত্রে কাজটি পায় “আরএবি-আরসি-বিসি-এইচটি জেভি নামের কুড়িগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটির মেয়াদকাল ধরা হয় ৫ জানুয়ারি২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫।পরে কাজটি মো. বেলাল হোসেন নামক এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলডাঙ্গা শালজোড় ঘাটপার পর্যন্ত রাস্তার মেরামত কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কটি। কোথাও কোথাও ময়লার ওপরেই দেয়া হয়েছে পিচ ঢালাই। রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ। রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীর পায়েও লেগে যাচ্ছে পিচ। আবার যানবাহনের চাকার দাগ বসে যাচ্ছে সড়কে। এমনকি পা দিয়ে ঘষলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। নিম্নমান এবং কম পুরুত্বের অপরিকল্পিত কার্পেটিং করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। অথচ সড়ক কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ও পিচ ঢালাইয়ে কম দেয়া হয়েছে বিটুমিন।এছাড়া কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার না করে ধুলা-ময়লার ওপরই পিচ ঢালাই করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ ও হাতের খোঁচায় পিচ উঠে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয়রা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ নেওয়া ব্যক্তি মো. বেলাল হোসেন বলেন, কাজ চলমান রয়েছে। পিচ এর বিটুমিন জমাট না বাধায় মটরসাইকেল চালানোর কারণে পিচ উঠে গেছে। পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, কাজে কোন অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাস্তার মাটি ও অন্যান্য কারণে কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তা ঠিক করতে বলা হয়েছে

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×