| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

আওয়ামী লীগের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করুক — সালাউদ্দিন আহমেদ

আওয়ামী লীগের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করুক — সালাউদ্দিন আহমেদ

বিএনপি বিশ্বাস করে, যে কোনো রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হোক আইন ও আদালতের মাধ্যমে—not নির্বাহী আদেশে। সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এমনটাই জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আমরা বিশ্বাসী। কাউকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা ঠিক নয়। আদালতই ঠিক করুক, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কিনা।”

‘রিকনসিলিয়েশন’-এর পথেই শান্তি খোঁজে বিএনপি

আওয়ামী লীগের মতো বিরোধীদের জন্যও বিএনপির ‘রিকনসিলিয়েশন’ প্রস্তাব প্রযোজ্য কিনা—এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে, প্রতিহিংসা নয়, মীমাংসাই পারে একটি জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে। কতজনকে সাজা দিয়ে সমাজ ঠিক রাখা যাবে? তাই আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে।”

আনুপাতিক উচ্চকক্ষে আপত্তি কেন?

আনুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবকে বিএনপি কেন সমর্থন করছে না—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সংবিধান সংস্কারের পক্ষে, তবে বাস্তবতা বুঝে। উচ্চকক্ষে যদি কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়, সরকার গঠনে জোট করতে হবে। তখন শুরু হবে দর কষাকষি, চাপের রাজনীতি। তাতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা বাড়বে। আমরা চাই কার্যকর ও স্থিতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিচার বিভাগের ভূমিকা

বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে না জড়ানোর পক্ষে মত দিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, “একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার ছিল, কারণ রাজনৈতিক আস্থা ছিল না। কিন্তু এতে বিচার বিভাগকেও রাজনৈতিক বিতর্কে টেনে আনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে সুষ্ঠু পদ্ধতির দিকে এগোনোর।”

অতীতের সংশোধনী আর বর্তমান পরিস্থিতি

পঞ্চম ও একাদশ সংশোধনীর দৃষ্টান্ত টেনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সংবিধান এখনো বলবৎ। তাই বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আইনি হবে না। আমরা চাই, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও তা সংসদের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন হোক।”

অভিযুক্ত মানেই অপরাধী নয়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “বিশ্বের কোথাও অভিযুক্ত মানেই অপরাধী নয়। কেউ সাজা না পাওয়া পর্যন্ত তাকে নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। এই নীতি যদি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়, তবুও আমরা বলি—নিরপেক্ষ বিচার হোক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়।”

“মানুষই ঠিক করবে কারা রাজনীতি করবে”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না, সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মানুষ আর আদালতের। সরকার চাইলে আইন সংশোধন করে বিষয়টা পরিষ্কার করতে পারে। আমরা শুধু বলছি—কারো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যেন গণতান্ত্রিক নিয়মেই নির্ধারিত হয়।”

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

আওয়ামী লীগের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করুক — সালাউদ্দিন আহমেদ

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করুক — সালাউদ্দিন আহমেদ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

আওয়ামী লীগের ভাগ্য আদালতই নির্ধারণ করুক — সালাউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×