| ১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার যেন কোনো অসুস্থ রোগীর মতো প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সূচক পড়ে যাচ্ছে নিয়মিত, আর সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বুকের ভেতর জমছে হতাশা, ক্ষোভ আর একরাশ ক্ষতি। কেউ কেউ বলছেন, এমন অবস্থা আগে কখনও দেখেননি—শেয়ারবাজার যেন বিনিয়োগকারীদের চোখের সামনেই গলাগলি করে মরছে।

নীতিমালার পাহাড়, কিন্তু সুফলের খরা

বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের নীতিমালা, নির্দেশনা আর বৈঠকের তোড়জোড় থাকলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—কখনো লেনদেন সময় কমানো, কখনো নতুন আইন প্রণয়ন। অথচ বাজারের মূল চিত্রটা দিনকে দিন আরও ভয়াবহ হচ্ছে। সম্প্রতি সংস্থাটির ২২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও তলানিতে পৌঁছেছে।

পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত এক প্রবীণ বিনিয়োগকারী কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে বলেন, “এই বাজারে এখন আর কেউ মুনাফার আশা করে না, শুধু ক্ষতির ভয় নিয়ে প্রতিদিন চার্ট দেখে। আমার ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা রেখেছিলাম শেয়ারে—এখন মূলধনই নেই। মুনাফা তো স্বপ্ন।”

বাজারে নেই তারল্য, নেই ভরসা

যারা ছোট ছোট পুঁজি নিয়ে শেয়ারবাজারে এসেছিলেন একটু আয় বাড়ানোর আশায়, তারা এখন পুরোপুরি কোণঠাসা। বাজারে তারল্যের অভাব, বড় বিনিয়োগকারীদের নির্লিপ্ততা, দুর্বল কোম্পানিগুলোর বাড়াবাড়ি লেনদেন—সব মিলিয়ে এক অস্বস্তিকর চিত্র। কেউ কেউ বলছেন, শেয়ারবাজার এখন আর বিনিয়োগের জায়গা নয়, বরং ‘ভয়ংকর ফাঁদ’।

ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, “প্রতিদিন বাজার খুললে ভয় লাগে। শেয়ার কিনে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এমন একটা সময় এসেছে, যখন শেয়ারবাজার মানেই আতঙ্ক।”

আজকের ডিএসই: সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে

৩০ এপ্রিল বুধবার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৭.৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৯১৭ পয়েন্টে। তবে সামান্য ইতিবাচক দিক হলো, ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.২২ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছেছে ১,০৯৪ পয়েন্টে। অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচক ১.৩৩ পয়েন্ট হারিয়ে নেমে এসেছে ১,৮২২ পয়েন্টে।

আজ মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। আগের দিন লেনদেন ছিল ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকার।

আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে:

দর বেড়েছে: ১৫৮টি

দর কমেছে: ১৭৬টি

দর অপরিবর্তিত: ৬২টি

 

সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে চার গুণের বেশি, তবুও সূচকে পতন

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৪১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যেখানে আগের দিন ছিল মাত্র ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে প্রায় চার গুণেরও বেশি।

তবে সূচকে তেমন ভালো খবর নেই। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,৮০৫ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক কমেছিল আরও বেশি—৩০.৫৭ পয়েন্ট।

সিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে:

দর বেড়েছে: ৮৮টি

দর কমেছে: ১১৬টি

অপরিবর্তিত রয়েছে: ২৯টি

সমাধানের খোঁজে বিনিয়োগকারীদের করুণ আকুতিঃ

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা চাইছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়। আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন কেবল চাওয়া নয়, দেশের পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখার জন্য এটি জরুরি প্রয়োজন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে বাঁচাতে হলে লিপ সার্ভিস নয়—দরকার বাস্তব ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। তারল্য বাড়ানো, দুর্বল কোম্পানিগুলোর লেনদেন নিয়ন্ত্রণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক সূচক নয়—এটি হাজারো পরিবারের জীবনের স্বপ্ন, সঞ্চয় আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। এই বাজারে যদি প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ চলতেই থাকে, তবে শুধু বিনিয়োগকারীরা নয়—ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো অর্থনীতি

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

প্রতিদিনের শেয়ারবাজারে ধসঃ বিনিয়োগকারীদের হৃদয়ের আর্তনাদ—‘এ যেন পুঁজির রক্তক্ষরণ

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

×