| ১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এবার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৪৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

ওয়ালটন জানিয়েছে, উচ্চ মানের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনের মাধ্যমে তারা আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। এ প্রকল্পে ১১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানির লক্ষ্য, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে প্রতিবছর প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার ব্যাটারি বিক্রি করা।

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি মূলত রিচার্জেবল ব্যাটারি হিসেবে পরিচিত, যার শক্তি ও আয়ুষ্কাল অন্যান্য ব্যাটারির তুলনায় বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যে এই ব্যাটারির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্ট ওয়াচ এবং গেমিং কনসোলের মতো ডিভাইসে লিথিয়াম ব্যাটারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন এর আগে ২০১৪ সালে হুয়াওয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টেলিকম খাতে ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে কাজ শুরু করেছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশ লিথিয়াম ব্যাটারি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় আকারের একটি কারখানা স্থাপন করেছে।

এদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় কিছুটা কমতি দেখা গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মেয়াদে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৪ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১৩ টাকা ৯৩ পয়সা। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় কম।

অর্থপ্রবাহের দিক থেকেও কিছুটা নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম তিন প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল মাইনাস ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে এটি ছিল ২২ টাকা ৮৮ পয়সা।

কোম্পানির পরিচালকরা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন ব্যাটারি প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের শিল্প খাতে একটি বড় অবদান রাখবে ওয়ালটন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে নামছে ওয়ালটন, মুনাফায় কিছুটা পতন

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

×