| ৫ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

শ্যামনগরে বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

শ্যামনগরে বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

উপকূলের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এবার বোরো ধানের ফসল ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বোরো চাষিদের দাবী ধানের ন্যায্য মূল্য পেলেই তারা খুব খুশি।

ধান উৎপাদনের অনুকুল পরিবেশ থাকায় বোরোর ফসল ভাল হওয়ার কারণ বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। লবনাক্ত এলাকা শ্যামনগরে মিষ্টি পানির প্রাপ্যতা বেশি হলে বোরো আবাদ আরও বেশি হত বলে উপজেলা কৃষি অফিস মত প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে প্রকাশ উপজেলায় চলতি বছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ২৭১৫ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড আবাদ ৯১৫ হেক্টর ও উফসি আবাদ ১৮০০ হেক্টর। গতবারে আবাদ হয় ২৩১০ হেক্টর। গতবার হাইব্রিড আবাদ ছিল ৮১০ হেক্টর ও উফসি ১৫০০ হেক্টর। জানা যায় প্রতিবছর বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

বোরো ধানের ফলন হয়েছে হাইব্রিড চাউলে প্রতি হেক্টরে ৪.৮ মেট্রিকটন ও ধানে ৭.২ মেট্রিকটন। উফসি ফলন হয়েছে চাউলে ৪.০ মেট্রিকটন ও ধানে ৬.০ মেট্রিকটন। বিঘাপ্রতি মণে ধান হয়েছে হাইব্রিড ২৪ মণ ও উফসি ২০ মণ।

উপজেলার আবাদকৃত বোরো ধানের জাত ছিল হাইব্রিড এসএল-৮, মদিনা-১, ছক্কা, তেজগ্লোড ও ৭৭৭।

উফসি জাত ছিল ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৯, ব্রিধান-১০০, বিনাধান-১০ ও বিনাধান-২৪।
এবার বোরো আবাদ বেশি হয়েছে শ্যামনগর ইউপিতে ও কম হয়েছে গাবুরা ইউপিতে। ইউনিয়ন অনুযায়ী ১২টি ইউপিতে বোরো আবাদের পরিমাণ হল ভূরুলিয়ায় ১৯৬ হেক্টর, কাশিমাড়ী ৩২৯ হেক্টর, শ্যামনগর ৩৫৯ হেক্টর, নুরনগর ১৭২ হেক্টর, কৈখালী ৩২৭ হেক্টর, রমজাননগর ১৩৮ হেক্টর, মুন্সিগঞ্জ ২১৯ হেক্টর, ঈশ^ীরপুর ২০৪ হেক্টর, বুড়িগোয়ালিনী ১৯৮ হেক্টর, আটুলিয়া ২৮৫ হেক্টর, পদ্মপুকুর ২৩৪ হেক্টর ও গাবুরা ৫৪ হেক্টর।

উপজেলার ভূরুলিয়া ইউপির বোরো চাষি লিয়াকত আলী বলেন দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। তিনি ফসল পেয়েছেন বিঘা প্রতি ২২ মণ। গতবারও তিনি বোরো ধান চাষ করেছিলেন এবার গতবারের তুলনায় ভাল ফলন পেয়েছেন বলে জানান। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন ইঁদুরের উপদ্রব কম থাকলে আরও বেশি ফলন পাওয়া যেতে।

মুন্সিগঞ্জ ইউপির জেলেখালী গ্রামের বোরো চাষি প্রশান্ত পরামান্য বলেন তিনি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে সর্বমোট ৮৭ মণ ধান পেয়েছেন। উভয়চাষি বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ার কারণ হিসাবে বলেন আবহাওয়া ভাল থাকা ও সেচ সুবিধা থাকা। তারা আরও বলেন দিনে দিনে চিংড়ী চাষের থেকে চাষিরা বেরিয়ে এসে বোরো ও আমন ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে।শ্যামনগরে এবার আমন ধানের আবাদ হয়েছিল ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে আমন ফসলের চেয়ে বোরো ধানের ফলন বেশি পেয়েছেন বলে জানান।

শ্যামনগর কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন, সুমন মন্ডল বলেন এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলা যেতে পারে। তারা বলেন বোরো ধানের ফসল কৃষকরা মাঠ থেকে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন ভাল ভাবে। মাঠে আছে আর মাত্র ১৫ ভাগ ধান যে গুলি খুব শীঘ্র ঘরে উঠবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা বলেন সঠিক সময়ে সেচ সুবিধা, সার বিতরণ, কৃষি অফিসের পরামর্শ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকায় বোরো ধানের ফলন বেশি পেয়েছেন বোরো চাষিরা।

শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকার বোরো চাষিরা জানান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খালগুলিতে মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে বোরো আবাদ সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় বর্তমানে পুনঃ খনন যোগ্য খালের সংখ্যা ৪৩টি। উপজেলায় খাল রয়েছে ১২০টির অধিক।
উপজেলার কৃষককুলের দাবী ফসল ভাল এবার দাম ভাল পেলে আমরা খুশি।

বজ্রপাতরোধে শ্যামনগরে সড়কের পাশে তালের চারা রোপন

শ্যামনগরে বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি- শ্যামনগরে গ্রামীন সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুন।

সোমবার(৪ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বজ্রপাতরোধে গ্রামীণ সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

শ্যামনগর পৌরসভা সদরের কালমেঘা ও হাটছোলা গ্রামীণ সড়কে তালের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন।

 

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর অসংখ্যা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তিনি এলাকাবাসীকে রোপনকৃত চারা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে নানা মুখি সুবিধা গ্রহণের আহব্বান জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী আরিফুল হক, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন,এস এম আহসান উল্যা, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্যা স্থানীয় কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।

 

জানা যায় খরিপ-২ এর কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় দুটি সড়কের পাশে দুই শতটি করে তালের চারা রোপন করা হয়েছে।

দুমকিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা দমন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শ্যামনগরে বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “এডিস মশা দমন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

 

সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধঃ

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না। তিনি ডেঙ্গুর কারণ, প্রতিরোধের উপায় ও এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

বিশেষ অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরাঃ

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালার উদ্দেশ্যঃ

সভায় বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। এডিস মশা জন্ম নেয় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে। তাই বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। বক্তারা সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান।

নোয়াখালীতে ৪ ছিনতাইকারী আটক

শ্যামনগরে বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

‎নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

‎সোমবার ( ৪ আগস্ট ) নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধৃত করে গণধোলাই দেওয়ার সময় সেনবাগ থানা পুলিশ আটক করে, নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । প্রকাশ, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক এর দিক নির্দেশনায় সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মিজানুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে এসআই(নিরস্ত্র) সনৎ বড়ুয়া, এসআই(নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, এএসআই(নিরস্ত্র) তরুণ কান্তি শর্মা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৩ আগস্ট তারিখে সেনবাগ থানাধীন ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপিস্থ ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে মেসার্স আলাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সামনে রাস্তার উপর সিএনজি যোগে যাত্রীবেশে ৪জন ছিনতাইকারী ভিকটিম বকুল নাহার প্রঃ মনোয়ারা বেগম এর নিকট হতে ১টি ৬আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান-৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা, ১টি OPPO স্মার্ট মোবাইল, মূল্য অনুমান-১৮,০০০/-(আঠার হাজার) টাকা, নগদ-২০০/-(দুইশত) টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়ে পালানোর সময় ভিকটিমের চিৎকারে  স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীদের পেছন পেছন ধাওয়া করে খলিল মিয়ার হাটে বেরিকেট দিয়ে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সংবাদ প্রদান করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনরোষ হইতে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার পূর্বক হেফাজতে নিয়ে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।


‎আটককৃতরা হলো- ১। মোঃ হক সাহেব প্রঃ খালেক(৪০), পিতা-মৃত আব্দুর সহিদ, মাতা-জাহানারা খাতুন, সাং-ধর্মপুর(রশিদ ড্রাইভারের বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), ২। মোঃ নুর নবী(৪৫), পিতা-তছির আহম্মেদ, মাতা-সোহাগের নেছা, সাং-পূর্ব চরখেলা কোপা(আালাউদ্দিন কোম্পানীর বাড়ী), থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুর, ৩। ফজলে রাব্বি প্রঃ রনি(২৮), পিতা-মৃত মানিক মিয়া, মাতা-হোসনে আরা বেগম, সাং-ধর্মপুর(হাজীরহাট, মজু মাস্টার বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), সর্ব জেলা-নোয়াখালী, ৪। মোঃ জুয়েল হোসেন(৩৩), পিতা-মোঃ বাদশা মিয়া, মাতা-রিজিয়া বেগম, সাং-সিংহখালী (তহসিলদার বাড়ী), থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, বর্তমান সাং-পূর্ব কুলগাঁও(জাবেদের ভাড়া বাসা), অক্সিজেন, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।


‎সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান জানান, ছিনতাই এর ঘটনায় ভিকটিমের দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে সেনবাগ থানার মামলা রুজু পূর্বক আসামীদেরকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

×