
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২১০ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে পুশ কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ময়দা, সাবুদানা ও জেলি জাতীয় তরল পদার্থ। অভিযানে দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান ও জব্দকৃত মালামাল
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দুপুর ১২টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খ্যাগড়াঘাট গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিজিএফআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কালিগঞ্জ-শ্যামনগর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. নাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত জানান, অভিযানে ২১০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি, ময়দা, সাবুদানা, সিরিঞ্জ ও পুশ কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য জব্দ করা হয়। এগুলো রপ্তানিযোগ্য হলেও খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছিল।
আটক ও শাস্তিঃ
ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় খ্যাগড়াঘাট গ্রামের কওছার মোড়লের ছেলে আতাউর মোড়ল এবং শওকত মোল্যার মেয়ে ছামিয়া বেগমকে। তারা চিংড়িতে ময়দা ও জেলি পুশ করার অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী দুই আসামিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে জব্দকৃত ২১০ কেজি চিংড়ি জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে ধ্বংস করা হয়।
প্রশাসনের বার্তাঃ
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, “চিংড়িতে পুশ করা অপদ্রব্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অভিযান পরিচালনা করেছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
দেশীয় মাছের বাজার ও রপ্তানিযোগ্য সামগ্রীর সুনাম রক্ষা এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় প্রশাসনের এমন তৎপরতা প্রশংসনীয়। চিংড়িতে পুশ বন্ধে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মৎস্য খাতকে আরও সুরক্ষিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।